ময়মনসিংহ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জুয়েল গণি গতকাল ২২-০৫-২০২০ রোজ শুক্রবার ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এলাকার ১২ নং ওয়ার্ড এলাকায় মসিক এর জননন্দিত মেয়র ইকরামুল হক টিটুর পক্ষে করোনাকালীন দুর্যোগে অাকস্মিক কর্মহীন ও পবিত্র রমজান মাসে অভাবগ্রস্তদের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য উপহার বিতরণ করেন।এসময় তার সাথে মসিকের ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিসুর রহমান সহ অাওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য প্রতিদিন ২৪ ডট কমের সাথে এক সাক্ষাতকারে রাজপথের লড়াকু মুজিব সৈনিক জুয়েল গণি বলেন,
দায়িত্ববোধ শুধু মুখে নয়,কাজে কর্মে প্রমাণ করতে হয়।
“সেবা পাওয়াটা নাগরিকের ন্যায্য অধিকার,আর সেবা দিতে না পারাটা দায়িত্বশীলদের ব্যর্থতা।
কারণ নাগরিকদের কার্যকর,নিরাপদ,সুন্দর জীবন যাপন উপহার দেয়ার দায়িত্ব আপনাদের।
ময়মনসিংহ সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু মহোদয়ের নির্দেশে ও ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিসুর রহমান আনিস এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে
জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যেকটা উপহার আমরা যারা দায়িত্বে আছি ন্যায় ও নীতির সাথে ১২ নং ওয়ার্ডের প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছি।
মেয়র টিটু মহোদয় আমাদের যে গুরু দায়িত্ব দিয়েছেন ও দিছেন তা আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
তিনি অারো বলেন,ইকরামুল হক টিটু ভাই ময়মনসিংহ রাজনীতিতে এসেছিলেন তারুণ্যের সৌরভ নিয়ে।ব্যাক্তিত্ব, বাচনভঙ্গিতে জিতে নিয়েছেন ময়মনসিংহের কোটি মানুষের মন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা তার সরকার গঠনে তারুণ্যে যে আস্থা রেখেছেন তার পরিপূর্ণ মর্যাদা দিয়েছেন সুরাজনীতির স্লোগান তোলা ইকরামুল হক টিটু ভাই।নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকেই ময়মনসিংহে উন্নয়নে মনযোগী হন টিটু ভাই, তার নিরলস প্রচেষ্টায় ময়মনসিংহ পরিণত হয় একটি নাগরিক বান্ধব শহরে।
২০২০ সালের পৃথিবীর সমস্ত দৃশ্য যখন বদলে গেল করোনাভাইরাসের আকস্মিক থাবায় তখন বাদ রইলো না বাংলাদেশও। জনগণের জন্য নিবেদিতপ্রাণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন মুজিববর্ষের সমস্ত আয়োজন বাতিল করে জনপ্রতিনিধিদেরকে নির্দেশ দিলেন নতুন এই ভাইরাসটির সংক্রমণ প্রতিরোধে সর্বাত্মক সামর্থ্য নিয়োগের।
ইকরামুল হক টিটু ভাই তখন পরিচয় দিলেন সর্বোচ্চ আধুনিকতার। দরিদ্র ও অসহায় মানুষের দুয়ারে সাহায্য নিয়ে পৌঁছে দেয়া। করোনাভাইরাসে সামাজিক দূরত্ব যেখানে আবশ্যক সেখানে লাইনে দাঁড়িয়ে উপহার গ্রহণ মানুষকে ঝুঁকিতে ফেলবে, তাই তিনি ৩৩ টি ওয়ার্ডে কমিটি ও স্বেচ্ছাসেবক টীম গঠন করলেন। যাদের কাজ অসহায় মানুষের দরজায় প্রিয় নেতার হাসি নিয়ে পৌঁছে যাওয়া। মহামারীকালীন স্বেচ্ছাসেবা কেমন হবে, তা নিয়ে নিয়মিত দিকনির্দেশনাও দেয়া হয়েছে তাদের। এসবই আধুনিক চিন্তার ফসল।এরপর তিনি ভাবলেন তাদের কথা যারা আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে, যারা মায়ের গর্ভে বাংলাদেশ দেখার অপেক্ষায় একটু একটু করে বেড়ে উঠছে। সেই অনাগত সন্তানদের মায়েদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া হল পুষ্টিকর খাবার, যেন করোনার প্রভাবে আগামীর নেতৃত্বের স্বাভাবিক আগমন বাঁধাগ্রস্ত না হয়। এমন দূরদর্শী পরিকল্পনায় টিটু ভাই বোঝালেন সুরাজনীতি হচ্ছে সুপরিকল্পনার সন্তান। বোঝালেন বাংলাদেশ এগোচ্ছে সুর্যের মত উজ্বল একটি দিনের দিকে।
ইকরামুল হক টিটু ভাই আপনার মত তরুণরাই প্রজন্মের মানসিকতা বদলের সেনাপতি হয়ে থাকবেন। আমরা যারা একদিন ফেইসবুক বায়োতে লিখতাম “আই হেইট পলিটিক্স” তারা রাজনীতি ভালোবেসে লিখছি এবং লিখবো “আই লাভ পলিটিক্স”। প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক হিসেবে আপনি যখন জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন, তখন আমরাও আছি আগামীর স্বপ্ন চোখে রেখে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে দিয়েছেন একটি টিটু , আপনি সে আলোয় জন্ম দিন অজস্র টিটুর।