১৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩১শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রচ্ছদ নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ কলমাকান্দা-দুর্গাপুরের সাবেক সাংসদ মোশতাক আহমেদ রুহী এখনো তাঁর নির্বাচনী এলাকার জনগণের হ্নদয়ের মনিকোঠায়।।
১৯, জুন, ২০২০, ১:০৪ পূর্বাহ্ণ - প্রতিনিধি:

সাবেক সংসদ সদস্য, আনন্দ মোহন কলেজের সাবেক ভিপি সমাজসেবক অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলাদেশের সময় ডট কমের সম্পাদক জননেতা আলহাজ্ব মোশতাক আহমেদ রুহী’কে নিয়ে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে একজন আওয়ামী লীগ নেতার অাবেগঘন স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়েছে।পাঠকদের জ্ঞাতার্থে পোস্টটি হুবুহু উদ্ধৃত হলো:-

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ যার চেতনায়, মাতৃভূমি ও দেশপ্রেম যার মূলমন্ত্র, দুঃখী-অভাবী মানুষের দুঃখ মোচন যার শিরায় শিরায় বহমান, নীতিতে যে আপোষহীন, এলাকার উন্নয়ন যার ধ্যান-জ্ঞান সেই প্রিয় ব্যক্তিটি হলেন দূর্গাপুর-কলমাকান্দার জনপ্রিয় সাবেক এমপি ‘রুহী’ ভাই। ১৫৭ নেত্রকোণা-১ আসন থেকে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে এলাকার উন্নয়নে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন একজন নিবেদিত প্রাণ সংসদ সদস্য হিসেবে।
দুর্গাপুর কলমাকান্দার সাধারণ জনতার জন্য শিক্ষা চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন এমপি রুহী ভাই ছাত্রজীবন থেকেই। এই অঞ্চলটি নীচু হওয়ায় প্রতিবছরেই বন্যার কবলে হারাতে হতো কৃষি সম্পদ। ছুটে যেতেন ত্রাণ নিয়ে সর্বসাধারণের মাঝে। সরকারী সাহায্যের পর মানুষ একমাত্র সাবেক কিংবদন্তী ছাত্রনেতা জনপ্রিয় আওয়ামী রাজনীতিবিদ এই নেতার কাছ থেকেই সাহায্য পেত। ত্রাণের উৎস ছিল পৈত্রিক সম্পদ বিক্রি, ধার করা অর্থ, স্বজন বন্ধুদের সহযোগিতা। সেই সময়ে সর্বসাধারণের স্লোগান ছিল ক্ষরা বন্যায় যাকে পাই সে মোদের ‘রুহী’ ভাই। সীমান্তবর্তী এই এলাকায় মাদক তরুণ সমাজকে যেন ধ্বংস না করতে পারে সে জন্য নিজেই শুরু করেন চোরাচালান প্রতিরোধে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান। এই সময়ে দুর্গাপুর কলমাকান্দার দুর্বৃত্তগুলো হয় ভালো হয়েছে না হয় এলাকা ত্যাগ করেছে। বন্ধ হয় ডাকাতি চুরি সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। এলাকার জনগণ পায় স্বস্তির নিঃশ্বাস। রক্তাক্ত ও সহিংস এ জনপদে তাঁর আমলে সাধারণ মানুষ ঘরের দুয়ার খুলে ঘুমাতো। উনার সময়ে থানাগুলোতে আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন কোনো প্রকার মিথ্যা মামলা হয়রানি চলবে না, কেউ থানায় দালালি করতে পারবে না। বন্ধ হলো মামলা নির্যাতন। নিজের অর্থ দিয়ে সরকারী কোষাগারে জমা দিয়ে ফেরিঘাটগুলোতে বন্ধ করলেন ফেরি পারাপারে অতিরিক্ত টাকা আদায়। কড়া নির্দেশ দিলেন কোনো প্রকার দরবার বাণিজ্য চলবে না। ব্যবসায়ীগণ চাঁদার হয়রানিতে জর্জরিত ছিল। ব্যবসায়ীদের নিয়ে মিটিং করে বন্ধ করলেন চাঁদাবাজি। রাজনৈতিক কর্মসূচির খরচ নিজের পকেট থেকে দিতেন। এমনকি জাতীয় শোক দিবসের ব্যয়ও নিজে নির্বাহ করতেন। স্থলবন্দর স্থানীয় সকল আমদানীকারকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেন। শত শত দলীয় নেতাকর্মী বালুমহালগুলোতে উপকারভোগী ছিলেন। ঝান্জাইল থেকে রাস্তার একটি কাজ মামলার কারণে বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন। যার কারণে মানুষকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল। ঠিকাদারকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে মামলা তুলে রাস্তা নির্মাণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন সাবেক এমপি ‘রুহী’ ভাই। মারামারি কাটাকাটির আতঙ্ক ভুলেই গিয়েছিল এ জনপদের মানুষ। পাঁচ বছরের নেতৃত্বে এলাকায় কোনো রকম দাঙ্গা হাঙ্গামা, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপর অত্যাচার, জমি দখল, লুটতরাজ, দূর্ণীতি ও অর্থের বিনিময়ে কাউকে চাকরি দেওয়া এমন কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ড ঘটেনি এক বাক্যে স্বীকার করে এলাকাবাসী তাঁকে ভুলতে পারেন না। সেই সময়ে আরেকটি শ্লোগান ছিল আমরা যারা শান্তি চাই নেতা মোদের ‘রুহী’ ভাই। অসহায় অতি দরিদ্র আর্তমানবতার জন্য এ নেতার নীরব মায়া লক্ষ্য করা যেত সব সময়। দানশীলতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন সবার প্রিয় ‘রুহী’ ভাই। গরীব মানুষের চিকিৎসা বিয়ের ও লেখাপড়ার খরচ দিতেন নিজ থেকেই। শিশুদের খুব ভালোবাসতেন। শিশুরাও তাকে তাঁর নাম ধরে ডাকতো। ‘এরিয়া বাংলাদেশ’ নামক এনজিওর চেয়ারম্যান হিসেবে ইউনিসেফের ফান্ড সংগ্রহ করে দরিদ্র শিশু কিশোর শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করে মাথাপিছু ১২ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা প্রদানের মাধ্যমে শত শত পরিবারের উপকার করেন প্রিয়নেতা Mustaque Ahmed Ruhi ভাই।
উন্নয়নের আলোকবর্তিকার বহুমুখী উদ্যোগে এলাকার সর্বসাধারণের আর্থসামাজিক জীবনমান অল্প সময়ে অনেক ঊর্ধ্বে চলে গিয়েছিল। অল্প কথায় তার বিবরণ তুলে ধরা সম্ভব নয়। পরিশেষে বলব আলোকে বাধা দেওয়া যায় না আলো তার নিজস্ব প্রতিভায় সদা প্রজ্জলিত, আর সেই আলোকিত মানুষটি হলেন সকলের প্রিয়নেতা মোশতাক আহমেদ রুহী ভাই। জীবনযুদ্ধে তিঁনি অনেক চড়াই উৎরাই অতিক্রম করেছেন এবং নিজের রাজনৈতিক জীবনকে গড়ে তুলেছেন বর্ণাঢ্যময়।
জীবন নিয়ে না ভেবে মানুষ ও দেশকে নিয়ে যারা ভাবে তাদের মধ্যে মোশতাক আহমেদ রুহী ভাই একজন। সুন্দর মনের জননন্দিত ও জনপ্রিয় এই নেতার আকাশছোয়া সফলতা কামনা করি।
জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু
জয় দেশরত্ন শেখ হাসিনা