পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে ময়মনসিংহেরর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ময়মনসিংহ জেলার সর্বস্তরের জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ঈদ-উল- অাযহার শুভেচ্ছাবাণীতে টিআই সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি সকলকে জেলা ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল-আযহার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন এবং ঈদ মোবারক। আমি সকলের অব্যাহত সুখ,শান্তি সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করি। ইসলাম ধর্মাবলম্বী জনসাধারণের বড় দুইটি ধর্মীয় উৎসবের মধ্যেই একটি ঈদ হলো ঈদ-উল-আযহা।
এ দেশে এই উৎসবটিকে আবার কুরবানি’র ঈদ নামে সবাই চেনে। ঈদ-উল -আযহা হলো ত্যাগের উৎসব। এই দিনটিতে মুসলমানেরা তাদের সাধ্যমত ধর্মীয় নিয়মানুযায়ী উট, গরু, দুম্বা কিংবা ছাগল কুরবানি বা জবাই দিয়ে থাকে। ইসলাম ধর্মে যার যাকাত দেয়ার সামর্থ্য রয়েছে তাঁর ওপর ঈদ উল আযহা উপলক্ষেই পশু কুরবানি করাটি ওয়াজীব।
আর বারবার ফিরে আসে ‘ঈদ’। ঈদ এর অর্থটাই হচ্ছে ফিরে আসা। এমন এই দিনকে ঈদ বলা হয়, একে অপরের প্রতি হিংসা বিদ্বেষ ভুলে এই জন্য যে মানুষ বারবার একত্রিত হয় এবং সাধ্যমতো যার যা উপার্জন তা নিয়েই আনন্দ উৎসব করে। তাই ঈদ দ্বারাই মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাকে নিয়ামাত কিংবা অনুগ্রহে ধন্য করে থাকে। মহান আল্লাহ পাক মুসলিম উম্মাদের প্রতি নিয়ামাত হিসেবেই ঈদ দান করেছে। তাই এই পবিত্র দিনে বাংলাদেশের প্রতিটি গৃহে প্রবাহিত হোক শান্তির অমীয় ধারা। আমি এই কামনা করি।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের আঘাতে এবারে হয়তো পূর্বের ন্যায় সবাইকে নিয়ে ঈদের আনন্দ উদযাপন করা সম্ভব হবে না। তবুও আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন ঘনিষ্ঠজন, নিকটজনসহ সবাই ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেব। কোনো অসহায় ও দুস্থ মানুষ যেন অভুক্ত না থাকে সেজন্য যারা সচ্ছল ব্যক্তি তারা যেন তাদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন, যাতে নিরন্ন মানুষরাও ঈদের আনন্দের অংশীদার হতে পারে। বাহিরে বের হলে আমরা সবাই মাস্ক পরিধান করবো এবং ঘন ঘন সাবান পানি দিয়ে হাত ধৌত করবো।
তিনি আরও বলেছেন, জনগণের আশা-আকাঙ্খা অনুযায়ী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এদেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে ময়মনসিংহের ট্রাফিক পুলিশ করোনাকালীন দুর্যোগে মানবিক কাজের পাশাপাশি এদ্বঞ্চলের ট্রাফিকিং ব্যবস্থা ঠিক রাখতে সদা সচেষ্ট রয়েছেন। তাই পবিত্র ঈদ-উল -আযহায় ত্যাগের মহিমায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে অাসুন অামরা রাস্তায় যানবাহন নিয়ে চলাচলের সময় ট্রাফিকিং অমান্য না করি এবং মেয়াদোর্ত্তীর্ণ যান ও অদক্ষ চালক যেনো রাস্তায় দুর্ঘটনা না ঘটায় সেজন্য সচেতন থেকে ট্রাফিক পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করি। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে মুক্তি পেতে অামরা যেনো বিশেষ প্রয়োজন না হলে ঘরেই থাকি,স্বাস্হ্য বিধি মেনে যানবাহনে চলাচল করি এবং করোনাক্রান্তদের সাথে মানবিক আচরণ করি।