এম এ আজিজ,
ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পৃথক অভিযানে দুই আন্তঃজেলা ডাকাত ও সাত জুয়াড়িসহ নয়জনকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে জুয়ার বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার ও নগদ সাড়ে ১৬ হাজার টাকা জব্দ করে পুলিশ।
ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ পিপিএম(বার) জানান, পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান ময়মনসিংহকে একটি শান্তিময় বাসযোগ্য নিরাপদ অঞ্চল গড়তে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। এরই আলোকে ডিবি পুলিশ মাদক উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী, চোর, ছিনতাইকারী, ডাকাতসহ নানা অপরাধে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই অংশ হিসাবে ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দের পরিকল্পনায় শনিবার রাতে এসআইপরিমল চন্দ্র সরকার সংগীয় অফিসার ফোর্সসহ জেলা সদরের চরদুলালবাড়ী গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে সাত জুয়াড়িকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে জুয়ার বিভিন্ন ধরণের সামগ্রী উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, বিনোদ চন্দ্র দাস, আলাল উদ্দিন, মোর্শেদ আলী, সুবল চন্দ্র দে, নন্দ সাহা, আশিক মাহমুদ ও রবিউল ইসলাম। এ ব্যাপারে এস.আই পরিমল চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা করেছেন।
এছাড়া ভালুকার চানপুর বাজারে সংঘটিত ডাকাতির ১৫ মাস পর ডাকাত হেলাল উদ্দিন ও আনন্দ চন্দ্র দাস ওরফে সেলিমকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। ডাকাতদ্বয়কে গ্রেফতার সম্পর্কে ডিবির ওসি জানান, চেষ্টা করলেই সফল হওয়া যায়। দীর্ঘ ১৫ মাস আগে সংঘটিত ডাকাতির মামলার রহস্য আজ উদঘাটিত হলো। ভালুকার চানপুর বাজারে গত ০৪/০৯/২০১৯ তারিখে ৪ টি দোকানে ডাকাতি সংঘটিত হয়। যার কোন কু পাওয়া যাচ্ছিল না। ডিবির তদন্তকারী এস.আই সহিদুল ইসলামের ঐকান্তিক চেষ্টায় আজ সফলতা এলো মামলাটির। ঘটনায় জড়িত ডাকাত হেলাল উদ্দিন ও আনন্দ চন্দ্র দাসকে মানিকগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ি থেকে শনিবার গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে ৩টি ডাকাতি এবং আনন্দ চন্দ্র দাস ওরফে সেলিমের বিরুদ্ধেখুন, ডাকাতি, অস্ত্র, চুরি, বিষ্ফোরক সহ মোট ১৫ টি মামলা রয়েছে। এদের মধ্যে ডাকাত হেলাল উদ্দিন ভালুকায় সংঘটিত ডাকাতির সাথে জড়িদ থাকার কথা আদালতে স্বিকার করেছে।