তথ্য প্রতিদিন. কমঃ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘জঙ্গিবাদ-উগ্রবাদ ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। এজন্য বিশ্ব নেতারা উচ্ছ্বিসত প্রশংসা করেছেন শেখ হাসিনার।’
নতুন খবর হচ্ছে, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি সাধারণ ও গণমানুষের জন্য। গরিব-দুঃখী, মেহনতী মানুষের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা রাজনীতি করেন। তার হাত ধরে বাংলাদেশে গরীব মেহনতী মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে।
বুধবার ২৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী হকার্স লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর দেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের, হকার, শ্রমিক, কৃষকদের যাতে কষ্ট না হয়, সেজন্য নানা ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। খেটে খাওয়া মানুষ হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রাণ। তারা যুগ যুগ ধরে সমর্থন দিয়ে আওয়ামী লীগকে বাঁচিয়ে রেখেছে, টিকিয়ে রেখেছে। আওয়ামী লীগ দেশের বৃহত্তর দলে রূপান্তরিত হয়েছে, গণমানুষের দলে রূপান্তরিত হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, যারা ড্রয়িং রুমের মধ্যে বসে থাকে আর সেখান থেকে নেতৃত্ব করে তারা আওয়ামী লীগের প্রাণ নয়, আওয়ামী লীগের প্রাণ হচ্ছে মাঠের নেতাকর্মীরা। শেখ হাসিনার রাজনীতি গণমানুষের জন্য, হকার-কৃষক-শ্রমিক ভাইদের জন্য।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী হকার্স লীগের সম্মেলনের মাধ্যমে একটি নতুন কমিটি হবে। তারপর সারাদেশে শাখা কমিটি করবেন। হকার্স লীগ একটি মজবুত লীগ হবে।
তিনি এ সময় বিকল্প ব্যবস্থা না করে হকারদের উচ্ছেদ করা উচিত নয় উল্লেখ করে বলেন, হকারদের বিকল্প ব্যবস্থা করার জন্য শহর কর্তৃপক্ষের কাছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে। বিদেশে যেমন সাপ্তাহিক বাজার বসে, তেমনি প্রতি ওয়ার্ডে যদি সাপ্তাহিক বাজার বসতো তাহলে হকারদের জন্য সুবিধা হতো। দেশের অন্যান্য বড় শহরগুলোতেও সাপ্তাহিক বাজার বসানো যায়। তাহলে হকারেরা সেখানে গিয়ে বিক্রি করতে পারে এবং তাদের সংসারটা চলে।