১৭ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২রা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রচ্ছদ অপরাধ, ঢাকা সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিনের পলাতক আসামী এম আলী নাজির শাহিন (৫১)’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১।
৭, আগস্ট, ২০২২, ৯:২৪ অপরাহ্ণ - প্রতিনিধি:

চীফ রিপোর্টারঃ- র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র‌্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরণের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে র‌্যাবের জোরালো তৎপরতা অব্যাহত আছে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান যারা বিভিন্ন সময়ে সাধারণ জনগণ ও বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকজন প্রতারককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব

চট্টগ্রাম DOHS ব্যবসার আড়ালে এম আলী নাজির শাহিন সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন জনের সাথে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। ২০১৬ সালে এম আলী নাজির শাহিন এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বিজ্ঞ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ ২য় আদালতে মামলা রুজু হয়। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিজ্ঞ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ, ২য় আদালত কর্তৃক এম আলী নাজির শাহিন এর বিরুদ্ধে ০১ বছর ০৬ মাসের কারাদন্ড এবং ৪১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা অর্থদন্ডের রায় হয় এবং এ সংক্রান্তে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়। এম আলী নাজির শাহিন দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করে থাকে।

এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ০৬ আগস্ট ২০২২ ইং তারিখ আনুমানিক ১৩৩০ ঘটিকায় র‌্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল ডিএমপি ঢাকার কাফরুল থানাধীন ইব্রাহীমপুর মনিপুর স্কুল এন্ড কলেজ রোড হতে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী এম আলী নাজির শাহিন (৫১), পিতা-মৃত আব্দুল মজিদ নাজির, সাং-বাসা নং-২৪, ডিফেন্স অফিসার্স হাউজিং সোসাইটি, চট্টগ্রাম সেনানিবাস, থানা-বায়েজিদ বোস্তামী, জেলা-চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে চট্টগ্রাম DOHS ব্যবসার আড়ালে সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন জনের সাথে প্রাতরণা করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। সে Amazing Holdings Limited এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে ব্যবসা করে প্রতারণা মূলকভাবে প্রায় ২/৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গত ২২ আগস্ট ২০১৭ তারিখ চট্টগ্রাম সেনানিবাস তার প্রতারণার বিষয় জানতে পেরে চট্টগ্রাম সেনানিবাসসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল সেনানিবাস এলাকায় তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।