১৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩১শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রচ্ছদ অপরাধ, ময়মনসিংহ ময়মনসিংহের চরপাড়া রাস্তাই যেন অ্যাম্বুলেন্স ষ্ট্যান্ড
১৭, সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১১:০৪ অপরাহ্ণ - প্রতিনিধি:

স্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহ শহরের চরপাড়া মেডিকেল হাসপাতালের সামনে সড়ক ও জনপথের দেড় কিলোমিটার ব্যস্ততম রাস্তার একপাশ দখল করে আছে ২’শতাধিক ব্যক্তি মালিকানার অ্যাম্বুলেন্স। অ্যাম্বুলেন্স গুলো দিবারাত্র দাড়িয়ে থাকার কারণে রাস্তা সরু হয়ে যাওয়ায় জানজট সৃষ্টিসহ প্রতি নিয়তই পচারীরা ছোটখাটো দূর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। সম্প্রতি নয়া পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মেদ ভুঞা যানজট মুক্ত করনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতি মধ্যে চরপাড়া এলাকার অ্যম্বুলেন্স রাখার বিপরিত প্রান্তে ফুটপাত অপসারন করিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, ফুটপাট ব্যবসায়ীরা স্থানীয় প্রভাবশালীকে প্রতিদিন ১৪০ টাকা করে দিতেন। অপরদিকে প্রতি অ্যাম্বুলেন্স পার্কিয়ে মাসে ১২শ টাকা করে দিয়ে থাকেন। অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সুত্রে জানা গেছে এষানে (রাস্তায়) গড়ে শতাধিক অ্যাম¦ুলেন্স দাড়িয়ে থাকে।
ময়মনসিংহের সাবেক পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন ও আহমার উজ্জান এর নির্দেশে এ সড়ক ছিলো যানজট মুক্ত। কোন অ্যাম্বুলেন্স ও ফুটপাত ভীড়তেই পারতোনা। পুলিশ সুপার আহমার উজ্জানের বদলীর খবর শুনে ধীরে ধীরে ফুটপাত বসা ও অ্যাম্বুলেন্স রাখা শুরু হয়। যা যানজটের অসহনীয় রূপ ধারন করলে নয়া পুলিশ সুপারের নির্দেশে ফুটপাত বসা বন্ধ হয়। অপরদিকে অবৈধ ভাবে পর্কিং করে রাখা অ্যাম্বুলেন্স গুলো যেন কোন কিছুর তোয়াক্কা করছেনা। অ্যাম্বুলেন্স গুলোর বেশীর ভাগ মালিক হচ্ছেন চরপাড়া এলাকার। তাদের নিজস্ব কোন গ্যারেজ নাথাকায় রাস্তায় রেখে চুটিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। সড়ক ও জনপথের ৪ ল্যান্ডের রাস্তার রোড ডিভাইডারের একাংশ অর্থাৎ এক ল্যান্ড দখল করে আছে অ্যাম্বুলেন্স গুলো। ফলে পথচারি ও রোগীর যাত্রাপথে যানজটের কারণে অনেকটা সময় এখানে বিরম্ভনার শিকার হতে হয়। অনেক সময় গাড়ী থেকে রোগী নামিয়ে কাঁদে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।
সুত্র জানায়,অ্যাম্বুলেন্সের চালকদের সাথে একাধিকবার ইন্টানী ডাক্তার ও পথচারীদের সাথে মারামারি হয়েছে। অর্থাৎ নাগরিক সুবিধা অসুবিধা তারা কোন আমলে নানিয়ে ব্যবসার কাজে ব্যস্ত। সমস্যা গ্রস্তরা এ সকল অ্যাম্বুলেন্সে ধরাশায়ী হয়েও চড়া মূল্যে রোগী কিংবা লাশ বহনে বাধ্য হচ্ছে।
চরপাড়া এলাকার মোছলেম উদ্দীন (৬৩) জানান, এ সকল অ্যাম্বুলেন্সের বেশীর ভাগ চালক হুমড়াচুমড়া। ভুয়া রানার ও ভ‚য়া লাইসেন্সধারীর সংখা বেশী। অনেক ড্রাইভার বিভিন্ন ক্লিনিকের দালাল। ওদের সাথে কথা বলতে যাইনা। কারন ওদের অচার অচারনও রুক্ষ।
ইন্টানী ডাক্তার মধুশোধন রায় জানান, এ সকল ড্রাইভার অল্প বয়সের ও উসশৃংখল। এদের সাথে কথা বলিনা।
একাধিক ড্রাইভারের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা সমিতির চাঁদা দেয়, পুলিশ মানতী (মাসোহারা) দেয়। ফলে তাদের কোন সমস্যা হয়না।