শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুরের নকলা উপজেলায় দরিদ্র অসহায়দের জন্য নির্মিত দুর্যোগ সহনীয় ৫৫টি বাসগৃহ উদ্বোধন করা হয়েছে। টিআর-কাবিটা কর্মসূচির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় নির্মিত দুর্যোগ সহনীয় এসব বাসগৃহ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মো. বোরহান উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সারোয়ার আলম তালুকদার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আম্বিয়া খাতুন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রশিদ সরকার, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলাম সোহেল, গনপদ্দী ডিজিটাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামছুর রহমান আবুলসহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাগন, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন পেশা শ্রেণীর জনগন ও স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, নকলা উপজেলায় ৫৫ টি ঘর নির্মাণ বাবদ এক কোটি ৪২ লাখ ১৯ হাজার ২০৫ টাকা প্রাকল্পিক ব্যয় করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, টিআর-কাবিটা কর্মসূচির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় সারাদেশ ব্যাপী ১১ হজার ৬০৪টি দরিদ্র অসহায় পরিবারের জন্য একটি করে বাসগৃহ নির্মান করা হয়েছে এবং আজ (রবিবার) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একযোগে এসব বাসগৃহ উদ্বোধন করেন।
উল্লেখ্য, টিআর-কাবিটা কর্মসূচির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় শেরপুরের সব কয়টি উপজেলায় ২৭১টি বাসগৃহ নির্মান করা হয়। প্রতিটি ঘরের প্রাকল্পিক নির্মান ব্যয় করা হয় ২ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩১ টাকা করে। এতে করে জেলায় মোট ৭ কোটি ৬১ হাজার ৯০১ টাকা এই প্রকল্পের আওতায় ব্যয় করা হয়। এই বরাদ্দের আওতায় শেরপুর সদরে ৬৬ টি দুর্যোগ সহনীয় ঘরের বিপরীতে এক কোটি ৭০ লাখ ৬৩ হাজার ৪৬ টাকা, নকলায় ৫৫ টি ঘরের বিপরীতে এক কোটি ৪২ লাখ ১৯ হাজার ২০৫ টাকা, নালিতাবাড়ীতে ৪৯ টি ঘরের বিপরীতে এক কোটি ২৬ লাখ ৬৮ হাজার ১৯ টাকা, শ্রীবরদীতে ৫৮ টি ঘরের বিপরীতে এক কোটি ৪৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭৯৮ টাকা, ঝিনাইগাতীতে ৪৩ টি ঘরের বিপরীতে এক কোটি ১১ লাখ ১৬ হাজার ৮৩৩ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। বরাদ্দমূলে পাওয়া বাসগৃহ গুলো স্ব-স্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা নির্মান প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন। আর প্রকল্পগুলো গুলো উপজেলা প্রশাসন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসরে সরাসরি তত্বাবধানে বাস্তবায়ন করা হয়।