১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রচ্ছদ জাতীয় ফাহাদ হত্যার বিচার দ্রুত শেষ করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
১৪, অক্টোবর, ২০১৯, ১০:৪৫ অপরাহ্ণ -

তথ্যপ্রতিদিন.কমঃ

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যার বিচার দ্রুত শেষ করতে আইনমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে ফাহাদের মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনার কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে ঢোকেন আবরার ফাহাদের বাবা বরকতউল্লাহ, মা রোকেয়া খাতুন, ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ সাব্বিরসহ পরিবারের সদস্যরা। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

সাক্ষাৎকালে রোকেয়া খাতুন প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, আপনি মায়ের আসনে থেকে ঘটনার পর হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে যে কঠোর ভূমিকা নিয়েছেন সেজন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার নেই।
সাক্ষাতের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জড়িয়ে ধরেন আবরার ফাহাদের মা রোকেয়াকে। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ঘটনাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। আমি দেখতে চাইনি কে কার লোক। অপরাধী কে বা কোন দল করে সেটা বিবেচনা করিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ওই সময় কিছু শিক্ষার্থী ভিডিও ফুটেজ আটকানোর চেষ্টা করেছে। সেটা তারা কেন করেছে তা এখনো আমার বোধগম্য নয়। তা না হলে হয়তো সব অপরাধী আরও আগেই গ্রেফতার হতো।

তিনি আবরার ফাহাদের মায়ের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাকে সান্ত্বনা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। শুধু বলবো আমাকে দেখেন। স্বজন হারানোর বেদনা আমি বুঝি। আমিও এক রাতে সব হারিয়েছিলাম। আমি তখন বিচারও পাইনি।

এই সময় আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন ও বাবা বরকতউল্লাহ প্রশাসন ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

সাক্ষাৎকালে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান।

একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে গত ৬ অক্টোবর দিনগত রাতে বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ ব্যাচ) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ডেকে নিয়ে হলের একটি কক্ষে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ৭ অক্টোবর হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানাজানি হলে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ হত্যাকাণ্ডের বিচারে নিজের অবস্থানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলে দেন, ‘অপরাধীর রাজনৈতিক পরিচয় যা–ই হোক, সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’