তথ্যপ্রতিদি. কমঃ
জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগসাজস করে ২ কোটি ৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাজশাহীতে সাবেক ব্যাংক ব্যবস্থাপক এএসএম আরিফুল হককে (৬৩) গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি কবি আরিফুল হক কুমার নামে রাজশাহীসহ সারাদেশে পরিচিত।
সোমবার দিবাগত রাতে নগরীর সিপাইপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা তাকে গ্রেফতার করেন।
এএসএম আরিফুল হক সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের রাজশাহী শাখার ব্যবস্থাপক ছিলেন। টাকা আত্মসাতের অপরাধে এরই মধ্যে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে বরখাস্ত করেছে। আর ব্যাংক কর্তৃপক্ষের করা মামলাতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ মামলার আরেক আসামি রফিকুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ী পলাতক রয়েছেন। তিনি নগরীর মাস্টারপাড়া এলাকার জেসারত মণ্ডলের ছেলে। রফিকুল ‘মেসার্স রাকা এন্টার প্রাইজ’ নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী।
দুদক জানায়, কোনও গ্রাহককে ঋণ মঞ্জুর করতে হলে ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী তার কাগজপত্র ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যাচাই করতে হয়। অভিযুক্ত ব্যবস্থাপক কোনো নিয়মের তোয়াক্কা না করে নিজেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওই ব্যাবসায়ীর সঙ্গে যোগসাজসে জাল কাগজপত্র তৈরি করে ২ কোটি ৫ লাখ টাকা ঋণ মঞ্জুর করেন এবং তা ভাগাভাগি করে নেন।
বিষয়টি ব্যাংকের নিরীক্ষায় ধরা পড়ার পরে গত বছর আরিফুল হককে ব্যাংক থেকে বরখাস্ত করা হয়। তখনই মামলা করা হয়। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা মামলার তদন্ত করেন। তিনি আসামিদের বিরল্ফম্নদ্ধে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে অভিযোগপত্রও দাখিল করেন।
আদালত তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারের জন্য মামলাটি বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে পাঠান। মামলাটি হওয়ার পর থেকেই আসামিরা পলাতক ছিলেন।
দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যলয়ের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পলাতক আসামি রফিকুল ইসলামকেও গ্রেফতারের জন্য তারা চেষ্টা চালাচ্ছেন।