তথ্য প্রতিদিন ডেস্ক =
সড়ক ব্যবহারে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি তৈরি করে দিচ্ছি। রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব এবং এটা যাতে অচিরেই নষ্ট না হয় সে বিষয়ে যারা ব্যবহার করবেন এবং স্থানীয় জনগণ সবারই দায়িত্ব রয়েছে। আপনারা সে দায়িত্ব পালন করবেন। যেকোনো একটা কাজের জন্য শুধু রাজধানীমুখী হলে হয় না, দিনে এসে দিনে কাজ করে ফিরে যেতে পারে। বর্তমানে আমরা এমনভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা করছি যে মানুষ খুব অল্প সময়ের মধ্যে এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে যোগাযোগ করতে পারবে।
আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাস্তবায়িত বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সড়ক উন্নয়ন করছি। সড়ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবাইকে একটু সচেতন হতে হবে। কোন সড়কে কত ট্রাক বা ওজনের যানবাহন চলতে পারে সে বিষয়টা একটু খেয়াল রাখা দরকার। অনেকে এটা মানতে চান না।
তিনি বলেন, নিরাপদ সড়কের কথা আমরা বলছি। ইতোমধ্যে নিরাপদ সড়ক আইন প্রণয়ন করেছি। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ যারা চলাচল করেন তারা কিন্তু মোটেও সচেতন না। তাদেরকে সচেতন হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা রাস্তায় চলাচল করে, আপনি যখন রাস্তা পার হবেন এই পারাপার করবার সময় আপনাকে ডানে-বায়ে সব দিকে খেয়াল রেখে সচেতনভাবে পার হতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আবার রাস্তায় যারা গাড়ি চালাবেন তাদেরকেও সচেতন হতে হবে। এই কারণে যে অহেতুক একটা প্রযোগিতা করতে গিয়ে একটু দুর্ঘটনা হয়। অনেক সময় রাস্তায় যেকোনো যানবাহন চালানোর সময় বা চালার সময় সবাইকে একটা দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে। দুর্ঘটনা ঘটবে আর সেই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী কে? একটা দুর্ঘটনা ঘটলে শুধু চালককে দায়ী করলে চলবে না। বরং কী জন্য দুর্ঘটনা ঘটলো তার জন্য যিনি পথচারী বা দুর্ঘটনাগ্রস্ত যে চালক তাদের কী ভুল আছে সেটাও কিন্তু দেখা দরকার। চালক থেকে শুরু করে যারা সড়ক ব্যবহার করে সবাইকে সচেতন হওয়া দরকার বলে আমরা একান্তভাবে প্রয়োজন বলে মনে করি।
শেখ হাসিনা বলেন, স্কুল থেকেই ট্রাফিক আইন সম্পর্কে আমাদের ছেলে-মেয়েদের সচেতন করতে হবে। রাস্তার কোন দিক থেকে হাটতে হবে সেটাও কিন্তু একটা শিক্ষণীয় বিষয়। কখন পার হতে হবে সেটাও কিন্তু শিক্ষাণীয় বিষয়। আমি মনি করি, আমাদের প্রতিটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের এই শিক্ষাটা দেয়া একান্ত দরকার।
প্রসঙ্গত, ময়মনসিংহ-গফরগাঁও-টোক সড়কের ৭২ তম কিলোমিটারে বানার নদীর ওপর পিসি গার্ডার সেতু, ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের ইন্দ্রপুল হতে চক্রশালা পর্যন্ত বাক সরণীকরণ, ভোমরা স্থলবন্দর সংযোগসহ সাতক্ষীরা শহর বাইপাস সড়ক, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতায় ৪-লেন বিশিষ্ট ফ্লাইওভার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।