এম এ রহমান জীবন,
কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ১নং লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের ডাউকেরগুল গ্রামের আলহাজ্ব আর্যান আলীর পুত্র সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরী (বাদাই মেম্বার) ১৯৭৭/৭৮ সালের দিকে ডাউকেরগুল তথা মুলাগুলে ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি মাদ্রাসা স্থাপনের উদ্যোগ নেন। তৎকালীন সময়ের খ্যাতিমান আলিম উলামায়েকেরাম গনের সাথে আলাপ-আলোচনা সাপেক্ষে, যেমন কানাইঘাট উপজেলার হযরত তৈয়ব আলী সাহেব, জকিগঞ্জ উপজেলার হযরত রায়পুরী সাহেব, হযরত ফুলতলী সাহেব কিবলা সহ আরো বহু ইসলাম প্রিয় ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে আলাপ আলোচনা করে সকলের সহযোগিতা নিয়ে মুলাগুল মৌজার ডাউকেরগুল গ্রামে,ডাউকেরগুল নেছারুল ক্বোরআন হাফিজিয়া ইসলামিয়া মাদরাসা নামে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেই সময় মহল্লায় মহল্লায় ও এলাকার প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্র সংগ্রহ এবং দক্ষ শিক্ষক এনে নিজের বাড়িতে থাকা খাওয়ার সু-ব্যবস্থা করে মাদ্রাসাটি পরিচালনা করেছিলেন। এলাকার প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে মাদ্রাসার জন্য চাঁদা আদায় করতেন এই মহান ব্যক্তি, বিভিন্ন সময় ঐ টাকা দিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা করতে অক্ষম হলে সম্পূর্ণ নিজ অর্থায়নে মাদ্রাসার যাবতীয় খরচ বহন করতেন তিনি, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে এই মাদ্রাসায় ধর্মীয় শিক্ষার আলোয় আলোকিত করেছেন। ১৯৯০ সালের ১৫ ই মার্চ এই মহান ব্যক্তির ইন্তেকাল হলে পরিবারের সিদ্ধান্ত ছিল, মা বাবার কবরের পাশে সমাহিত করা তখনকার সময়ে গ্রামের পঞ্চায়েত ও প্রবীন মুরব্বিয়ানগন মিলে পরিবারের কাছে অনুরোধ করে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে উনাকে মাদ্রাসার এরিয়ার ভিতরে কবর দেওয়ার পরামর্শ দেন, এবং সর্বসম্মতিক্রমে সেই পরামর্শ গৃহীত হয়। বর্তমানে এই মহান ব্যক্তির সমাধি ওই মাদ্রাসার এরিয়ার ভিতরেই রয়েছে। সেই মহান ব্যক্তির হাতের প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা আজ বহুতলা বিল্ডিংয়ে রূপান্তরিত হয়েছে, ৩য় তলা এই ভবনটির ১ম তলার কাজ এলাকাবাসীর অর্থায়নে সম্পন্ন হয়েছে। এবং ২য় তলার সম্পূর্ণ কাজ ওই মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, লোভাছড়া আদর্শ পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি, ও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিনের প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা অর্থায়নে দ্বিতীয় তলার কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। তাই শীঘ্রই শুভ উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে ডাউকেরগুল তথা মুলাগুলবাসী।