মিসট্রেস অব ইভিল’ এবং ‘জম্বিল্যান্ড: ডাবল ট্যাপ’। একই দিনে নগরীর স্টার সিনেপ্লেক্সেও মুক্তি পাবে এ দুটি সিনেমা। ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ডিজনির ‘ম্যালেফিসেন্ট’ সিনেমার সিক্যুয়েল ‘ম্যালেফিসেন্ট: মিসট্রেস অব ইভিল’। এতে অভিনয় করেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর মুক্তি পাচ্ছে জোলি অভিনীত সিনেমা। সিনেমাটির ট্রেইলারে ভয়ংকররূপে দেখা গেছে এই অভিনেত্রীকে। জোয়াকিম রোনিং পরিচালিত এ সিনেমা ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় মুক্তি পাবে। অন্যদিকে, ডাকিনীবিদ্যার প্রয়োগে প্রাণ ফিরে পাওয়া লাশকে বলা হয় ‘জম্বি’। পুরো আমেরিকা আসলে জম্বিদেরই দেশÑএরকম কাহিনি নিয়ে নির্মিত ‘জম্বিল্যান্ড’ সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল ২০০৯ সালে। প্রায় এক দশক পর দর্শকের সামনে আসছে এ সিনেমার সিক্যুয়েল ‘জম্বিল্যান্ড: ডাবল ট্যাপ’। ‘ম্যালেফিসেন্ট’ সিনেমা হলিউড বক্স অফিসে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। প্রশংসিত হয় অ্যাঞ্জেলিনা জোলির অভিনয়ও। এই সিনেমার সিক্যুয়েল ‘ম্যালেফিসেন্ট: মিসট্রেস অব ইভিল’। সিনেমাটির হিন্দি ভাষার সংস্করণে ম্যালেফিসেন্টকে ভারতীয় দর্শকের কাছে কণ্ঠের মাধ্যমে তুলে ধরবেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। অ্যাঞ্জেলিনা জোলির অভিনয়কে ভারতীয় দর্শকের কাছে কণ্ঠ দিয়ে তুলে ধরতে ঐশ্বরিয়ার বিকল্প নেই বলে মনে করেন ডিজনি ইন্ডিয়ার প্রধান বিক্রম দুগ্গাল। তিনি বলেন, ‘দেখুন, কত চমৎকার করে পর্দায় ম্যালেফিসেন্টকে তুলে ধরেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। তাকে আমাদের এখানকার দর্শকের কাছে কণ্ঠাভিনয় দিয়ে পৌঁছে দিতে ঐশ্বরিয়ার থেকে আর কে যোগ্য হতে পারে। আমরা চেষ্টা করেছি ঐশ্বরিয়ার কণ্ঠের মাধ্যমে এই চরিত্রকে হিন্দি দর্শকের কাছে তুলে ধরতে। ১৯৫৯ সালে ফরাসি লেখক চার্লস পেরোর ‘দ্য স্লিপিং বিউটি’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছিল ‘স্লিপিং বিউটি’ সিনেমা। ৫৫ বছর পর ২০১৪ সালে দর্শকের সামনে আসে এর রিমেক ‘ম্যালেফিসেন্ট’। সিনেমাটির গল্পে দেখা যায়Ñজনপ্রিয় কল্পকথা স্লিপিং বিউটি বা ঘুমন্ত সুন্দরীর কাহিনি। সেই ঘুমন্ত পরীকে সবাই ভুল বোঝে। রাজকন্যা অরোরা এবং এমন একটি রাজ্যের রাজার সঙ্গে তার সম্পর্ক দেখানো হয় যে রাজ্যের মূলে রয়েছে ভয়ংকর সব ঘটনা। এবারের সিনেমায় দেখা যাবে, রাজপুত্র ফিলিপ রাজকন্যা অরোরাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং রাজকন্যা প্রস্তাবটি গ্রহণ করে। এরপর ম্যালেফিসেন্টের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ফিলিপসের মা ইনগ্রিথ পরিকল্পনা করে এই বিয়ের মধ্য দিয়েই মানবজাতি ও পরীদের মধ্যে সম্পর্ক চিরদিনের মতো শেষ হয়ে যাবে। এরপর যুদ্ধক্ষেত্রে দুই পক্ষে অবস্থান নেয় অরোরা ও ম্যালেফিসেন্ট। এবারো প্রিন্সেস আরোরা হিসেবে থাকছেন এল ফ্যানিং। অভিনয়ের পাশাপাশি সিনেমাটির সহ-প্রযোজক হিসেবে আছেন জোলি। ডাকিনীবিদ্যার প্রয়োগে প্রাণ ফিরে পাওয়া লাশকে বলা হয় ‘জম্বি’। পুরো আমেরিকা আসলে জম্বিদেরই দেশÑএরকম কাহিনি নিয়ে নির্মিত ‘জম্বিল্যান্ড’ সিনেমা ২০০৯ সালে মুক্তি পায়। প্রায় এক দশক পর দর্শকের সামনে আসছে এ সিনেমার সিক্যুয়েল ‘জম্বিল্যান্ড: ডাবল ট্যাপ’। প্রথম সিনেমার পরিচালক রুবেন ফ্লেচারই এ সিনেমা পরিচালনা করেছেন। অভিনয়শিল্পীদের তালিকায় খুব একটা পরিবর্তন ঘটেনি। আগের মতো এতে থাকছেন অস্কার মনোনীত অভিনেতা উডি হ্যারেলসন, জেসি আইজেনবার্গ, এবিগেইল ব্রেসলিন ও অস্কারজয়ী এমা স্টোন। সিনেমাটির সাফল্য নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী পরিচালক রুবেন ফ্লেচার। তার মতে, এ সিনেমায় দর্শকরা দারুণ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাবেন।