বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯২৬ সালে ময়মনসিংহে এসেছিলেন। ১৫ ফেব্রুয়ারী কবিগুরু ময়মনসিংহ রেলষ্টেশনে পৌঁছান। সেখানে কবিগুরুকে বরণ মালা পরিয়ে দেন মুক্তাগাছার জমিদার মহারাজ শশীকান্ত আচার্য্য চৌধুরী।
শতহস্তে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে বিশ্ব কবিকে স্বাগত জানানো হয়। এসময় কবির পাশে ছিলেন তার পুত্র রথীন্দ্রনাথ, পুত্রবধূ প্রতিমা দেবী, দীনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, ইতালির অধ্যক্ষ জোসেফ তুচি প্রমুখ। সেখানে কয়েকদিন থাকেন তিনি। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। শশীকান্ত মহারাজের বাগানবাড়ি আলেকজান্ডার ক্যাসেলে তিনি ছিলেন।
কবিগুরু ১৯ ফেব্রুয়ারী সকালে ময়মনসিংহ থেকে ট্রেনে ইশ্বরগঞ্জের আঠারবাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেদিন তাঁকে একনজর দেখার জন্য ঈশ্বরগঞ্জ ও গৌরিপুরের হাজার হাজার মানুষ ঈশ্বরগঞ্জ সদরে চলন্ত ট্রেন থামিয়ে দেয়। এরপর আঠারবাড়ী রেলষ্টেশন ট্রেন থেকে নামার পর কবিকে হাতির পিঠে চড়ানো হয়। এসময় ঢাক ঢোল পিটিয়ে অভিবাদন জানানো হয়। শত শত মানুষ জয়ধ্বনি করতে করতে তাঁকে জমিদার বাড়ীর মূল ফটক পর্যন্ত নিয়ে যায়। মূল ফটকের কাছে কবিকে সোনার চাবি উপহার দেন জমিদার প্রমোদ চন্দ্র রায় চৌধুরী। ওই চাবি দিয়ে রবীন্দ্রনাথ কাচারী ঘরের মূল ফটক খোলেন। প্রমোদ চন্দ্র রায় চৌধুরী শান্তি নিকেতনের শিক্ষার্থী ছিলেন। কবিগুরু ছিলেন তাঁর শিক্ষক। বিশ্বকবি তাঁর এই ছাত্রের আমন্ত্রণ রক্ষা করতেই আঠারবাড়ি এসেছিলেন।
(১৬ ফেব্রুয়ারী, ১৯২৬;ছবিতে বিদ্যাময়ী গার্লস স্কুলের প্রবেশ পথের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আছেন ধুতি পরিহিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ ৩৩ কাচারী রোড, ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবি সমিতির ৪ ও ৫ নং ভবনের বিপরীত পাশে।
ঢাকা কার্যালয়ঃ কে ৭৪/৫,কোরাতলী এআই ইউবি রোড খিলক্ষেত, ঢাকা, ১২২৯।
যোগাযোগঃ 01917925375 /01736554862 / 01721927699
প্রকাশক: মারুফ হোসেন কমল