মোঃ সাইফুল ইসলাম:
শিক্ষানগরী খ্যাত ময়মনসিংহ মহানগরীর ৪ নং ওয়ার্ডের গোহাইলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত ভবন এর বাথরুম না থাকায় অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম অনতিদূরে গোহাইলকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় ভবনে প্রাতঃকালীন শিক্ষা কার্যক্রম হিসেবে শেয়ার করে চলছে।
প্রতিদিন উচ্চ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান তড়িঘড়ি করে শেষ করা হয়। জানা গেছে ময়মনসিংহ এলজিইডি কর্তৃক তিন বছরেরও অধিক সময়কাল পূর্বে শুরু হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের নির্মাণ কাজ প্রায় এক বছর পূর্বে শেষ হয়েছে । উল্লেখ্য বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নবনির্মিত বিদ্যালয় ভবনটি ভোট কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হয়েছে। নবনির্মিত বিদ্যালয় ভবনের সাথে নতুন ভাবে কোন বাথরুম তৈরি করা হয়নি।
সিটি কর্পোরেশন থেকে ৫ বছর আগে প্রাথমিক বিদ্যালয় মূল ভবনের সামনে আলাদাভাবে বাথরুম তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল।কিছুদিন পূর্বে রাস্তা সংলগ্ন ড্রেনের কাজ সম্প্রসারণের কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাথরুমের সেফটি টাংকি ভেঙ্গে ফেলা হয়। সরেজমিনে দেখা যায় যে একদিকে বিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষকের ব্যবহারের জন্য নতুন ভাবে বাথরুম তৈরি করা হয়নি অন্যদিকে পুরাতন বাথরুমের সেফটি না থাকায় বিদ্যালয় ভবনটি শিক্ষাকার্যক্রমে ব্যবহার করার উপযোগী নয়। ময়মনসিংহ সদর উপজেলা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জীবন আরা বেগম এবং গোহাইলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান যে শুধুমাত্র বাথরুমের না থাকার কারণে নবনির্মিত গোহাইলকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। শিক্ষার মান সম্পন্ন একাধিক বার খ্যাতি অর্জনকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার মান নিয়ে শিক্ষক ,শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী কেহই সন্তুষ্ট নয়। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা পূর্বের তুলনায় অনেক কমে গেছে। অন্যদিকে গোহাইলকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান প্রধান শিক্ষক মো: রফিকুল ইসলাম।এলাকার পান দোকান থেকে চা স্টল সব জায়গায় এ ব্যাপারে আলোচনার সরগরম।নগরপিতা,শিক্ষা বিভাগ এবং প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগন বিষয়টি গুরুত্বের সাথে অনুধাবন করে গোহাইলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর বাথরুম সমস্যার দ্রুত সমাধান করবেন। ফলে শহরতলীর প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবিধাবঞ্চিত কোমলমতি শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ভবনে স্বাচ্ছন্দে পূর্ণ সময় শিক্ষা গ্রহণ ও খেলাধুলা করতে পারে।