সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ ইউপির কান্দলা নয়াবাজারে মা টেলিকম নামের এক প্রতিষ্ঠানে এই অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। কান্দলা নয়াবাজারের বিশ্বস্ত জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আব্দুল আজিজ এর সাথে আলাপকালে জানা যায়, কান্দলা নয়াবাজারের অত্যন্ত বিশ্বস্ত ও জনপ্রিয়তার মাধ্যমে মা টেলিকম নামে একটি প্রতিষ্ঠান সেবামূলক হিসাবে ব্যবসা করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিদিনের ন্যায় গত ২৬ মে মঙ্গলবার আব্দুল আজিজ ও তার ছোট ভাই আজমল হোসেন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দোকানের মালামাল বেচা কেনার পর মঙ্গলবার রাত্রে আকাশের অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে দোকানের মালামাল বিক্রয়ের কেশ ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা বৃষ্টি হওয়ার কারণে বাড়িতে নিয়ে যেতে পারি নাই। তাই সেই টাকাগুলো নিজ মালিকানা দোকানের কেশের ড্রয়ারে সংরক্ষণ করে রাত দশটার দিকে দোকান তালা দিয়ে দোকান হইতে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে বাখালছড়া গ্রামে নিজ বসত বাড়িতে চলে যাই। পরের দিন সকালে আবারো প্রতিদিনের ধারাবাহিকতায় সকাল দশটার দিকে আমার ছোটভাই আজমল হোসেন দোকান পরিচালনার উদ্দেশ্যে দোকানের তালা গুলো খুলতে চাইলে কোনভাবেই থালা গুলো খোলা সম্ভব হয় নাই কারণ দুষ্কৃতীরা সুপারগ্লু দিয়ে তালা নষ্ট করে তাদের মিশন সফল করেছে। তালা গুলো না খোলাতে সে প্রতিবেশী ওয়াকসপ এর দোকান থেকে হাতুড়ি এনে তালা গুলো ভেঙ্গে দোকানের ভিতরে প্রবেশ করে দেখে দোকানের সমস্ত মালামাল গুলো এলোমেলো করে মাঠিতে ফেলা ও ক্যাসের ড্রয়ার ভেঙ্গে মাটিতে রাখা ও রেখে যাওয়া সেই টাকাগুলো উদাও সাথে সাথে আমার ছোট ভাই আজমল হোসেন আমাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি জানায় এবং তাৎক্ষণিক আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই এবং গিয়ে দেখি আমার দোকানের সমস্ত মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে চোর চক্র ও আমার দোকানের সমস্ত এন্ড্রয়েড স্মার্ট ফোনগুলোও নিয়ে গেছে তারা। এবং দোকানের এদিক সেদিক তাকাতে না তাকাতেই দেখি আমার দোকানের ছালের উপরের কয়েকটি টিন খোলা পরে আমার দোকানের সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজ অন করি এবং সেই ফুটেজের মাধ্যমে আমি সেই চোর চক্রের সদস্যকে শনাক্ত করতে সক্ষম হই। তারপর ওইদিন বিকালেই আমার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলো নিয়ে আমি কানাইঘাট থানা পুলিশের শরণাপন্ন হই এবং একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। চুরি হওয়া আমার দোকানের মোবাইলের মধ্যে রয়েছে অপো অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ১৮টি ভিভো স্মার্টফোন ১২টি টেকনো স্মার্টফোন ৮টি সিম্ফোনি স্মার্ট ফোন ২০টি আইটেল স্মার্টফোন ২২টি স্যামসাং স্মার্টফোন ৬ টি মোট ৮৬টি স্মার্ট ফোন নিয়ে যায় চোর চক্রের সদস্যরা যার বাজার মূল্য ৭ লক্ষ ১৩ হাজার ৮ শত টাকা।
সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কানাইঘাট থানা পুলিশ অত্যন্ত সততা ও দক্ষতার সহিত অভিযান চালিয়ে প্রথমে শরিফ নগর গ্রামের সিরাজ মিয়ার পুত্র মকসুদুল আলম(২৫) কে ২৮ মে বৃহস্পতিবার তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তারপর প্রথম আসামী মকসুদুল আলম কে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তার সাথে কারা জড়িত রয়েছে এবং ঘটনাস্থলে কারা উপস্থিত ছিল সে ব্যাপারে জানতে চাইলে যে নামগুলো উল্লেখ করে তারা হলেন ডাউকেরগুল গ্রামের মৃত ছালাম মিয়ার পুত্র জাহাঙ্গীর আলম(২২) একি গ্রামের জমির আলীর পুত্র সিফাত আহমদ(৩০) মৃত মজির উদ্দিন মিয়ার ছেলে মঞ্জুর হোসেন (৩৫) পরে প্রথম আসামী মকসুদুল হোসেনের বর্ণনা অনুযায়ী জাহাঙ্গীর আলম ও সিফাত আহমদ কে পৃথক পৃথক স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং চোরাইকৃত কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়। আর ৪ নং আসামী মঞ্জুর হোসেন মালামালসহ পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে,
এদিকে চুরি হওয়া ৮৬টি স্মার্টফোন এর মধ্য থেকে মকসুদের কাছ থেকে ২টি জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে ৩টি মঞ্জুর হোসেন এর বাড়ি থেকে ১ টি সিফাত আহমদ এর মাধ্যমে ডাউকেরগুলের আয়াছ আলীর বাড়ি থেকে ১টি স্মার্ট মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। ও বাদবাকি মালামালসহ মঞ্জুর হোসেন কে গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ ৩৩ কাচারী রোড, ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবি সমিতির ৪ ও ৫ নং ভবনের বিপরীত পাশে।
ঢাকা কার্যালয়ঃ কে ৭৪/৫,কোরাতলী এআই ইউবি রোড খিলক্ষেত, ঢাকা, ১২২৯।
যোগাযোগঃ 01917925375 /01736554862 / 01721927699
প্রকাশক: মারুফ হোসেন কমল