ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল তার ফেসবুক পেইজে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম শামসুল হক এমপি সাহেবের মৃত্যু বার্ষিকীতে স্মৃতিচারণ করে যা বললেন।
গত ২৭ মে, ২০২০ মরহুম এমপি শামসুল হক সাহেবের বৃষ্টিতে ভিজে কবর জিয়ারত করে ফিরছিলাম। স্মৃতি আমাকে কড়া নাড়ছিলো। মনে পড়ছিলো অনেক কাহিনী কথা। এর মাঝে কথা হলো শামসু ভাই এর অনুসারী ফজলে রাব্বি সাহেবের সাথে।
আমরা তাকে শামসু ভাই এর সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা বলে ডাকতাম। মনে পরে আমার রাব্বি সাহেব কুখ্যাত রাজাকার জামাত নেতা গোলাম আজমের নাগরিকত্ব বাতিলের প্রস্তাব সংসদে উপস্থাপনের জন্য তৈরী করে শামসু ভাই এর সাক্ষর গ্রহণের মাধ্যমে জাতীয় সংসদে জমা দেন।
তরিৎকর্মা ফজলে রাব্বি শামসু ভাইয়ের প্রস্তাব জমা দেওয়ার পরেই রাশেদ খান মেনন সহ আরও কয়েকজন মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্যগণ একই প্রস্তাব জমা দেন। আমাদের সকলের মাঝে বিষয় টি নিয়ে আলোচনা ছিলো। বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হয়। শামসু ভাই এর ভিতর একটা উত্তেজনা কাজ করছিলো। প্রথম জমা দেওয়ায় এম. পি শামসু ভাই এর প্রস্তাব টি গৃহীত হয়। গোলাম আজমের নাগরিকত্ব বাতিল হয়। সারা পৃথিবী জুড়ে সারা দেশ জুড়ে বীর যোদ্ধা শামসুল হক এর নাম উচ্চারিত হয়। আমরা প্রাণবন্ত হই। পরের দিন সকাল বেলা শামসু ভাই এর কাছে একটি টেলিফোন আসে। শামসু ভাই কে থ্রেট করা হয় মরণের জন্য তৈরী থাকতে বলা হয়। সে কি উত্তেজনা শামসুল হক এর!
আমাকে এবং ফিরোজ কে ডেকে বল্লেন রাজাকারের বাচ্চা রা আমাকে হুমকি দিয়েছে। আমিও দেখে নিবো তাদের। তিনি তার লাইসেন্স করা বন্দুক পিস্তল বের করে ফেল্লেন। আমাদের বল্লেন তৈরী থেকো মোকাবিলা করতে হবে। রাব্বি সাহেব কে খবর দাও বাচ্চু মিয়া কে খবর দাও। লাইসেন্স করা অস্ত্র নিয়ে আসতে। আমরা তাই করলাম।
দুপুর ১২ টার দিকে ২৫ টি বাঁশের লাঠি কিনে আনলেন। আরও কিছু লোক কে খবর দেওয়া হলো। একটা যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব। আমরা খুব উজ্জীবিত। এভাবেই সংসদের অধিবেশন শেষ হলো। বিজয়ী শামসুল হক দশটি গাড়ি নিয়ে সামনের খোলা জিপে আমি বাচ্চু ভাই সহ কয়েকজন ছিলাম। ময়মনসিংহে রওনা হলাম। শামসু ভাইয়ের গাড়ি তে ছিলো ফজলে রাব্বি, ফিরোজ এবং মোশাররফ হোসেন খান নীলু ভাই। আমরা সবাই আবেগে আপ্লুত ছিলাম। পথিমধ্যে কয়েক জায়গায় আমরা চা খেলাম নাস্তা করলাম। সব জায়গায় ভিড়৷ তারপর ময়মনসিংহ উপস্থিত।
১৫ বছর হয়ে গেলো শামসু ভাই না ফেরার দেশে চলে গেছেন। বারবার মনে কতো স্নেহ কতো ভালোবাসা অভিভাবকত্বের ধমকাধমকি সবকিছুই মনে পরে। বিদায় শামসু ভাই তোমাকে বিদায়। তোমার জায়গা যেনো হয় বেহেশতের সীমানায় আল্লাহর কাছে এই আমার কামনা।
পরে আরও লিখবো আমার প্রয়াত নেতা মরহুম এমপি শামসুল হক সাহেবের স্মৃতি কথা৷
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ ৩৩ কাচারী রোড, ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবি সমিতির ৪ ও ৫ নং ভবনের বিপরীত পাশে।
ঢাকা কার্যালয়ঃ কে ৭৪/৫,কোরাতলী এআই ইউবি রোড খিলক্ষেত, ঢাকা, ১২২৯।
যোগাযোগঃ 01917925375 /01736554862 / 01721927699
প্রকাশক: মারুফ হোসেন কমল