শেখ রাজীব হাসান,টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
টঙ্গীতে মাসুদা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধুকে মারধর করে হাত, পা, মুখে কসটেপ মেরে বাক্স বন্দি করে খুন করার চেষ্টা ও দেড় মাসের শিশু কন্যা হ্যাপিকে সিগারেটের আগুন দিয়ে ছ্যাকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী হাবিবুর রহমান (৫০) এর বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার রাত আনুমানিক ১০ ঘটিকার সময় দত্তপাড়া এলাকার সাইফুলের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গৃহবধু মাসুদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামী পূর্বে একটি বিয়ে করেছে। ওই সংসারে স্ত্রী হাছিনা আক্তার ও চারজন ছেলে মেয়ে। ৩ বছর আগে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় তখন মাসুদাকে বিয়ে করেন। বর্তমান স্ত্রী দুই ছেলে মেয়ে। বিয়ের কিছু দিন পর থেকে স্বামী হাবিবুর রহমান ও আগের স্ত্রী হাছিনা আক্তার নাজমাসহ প্রায় তাকে শারীরিক ও মানষিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিলো। এব্যপারে এলাকায় বেশ কয়েকবার স্থানীয়না মিমাংশা করে দিলেও থেমে নেই নির্যাতন। শনিবার রাতে দোকান থেকে ঘরে ফিরে তাকে গালিগালাজ ও মারধর করতে থাকে হাবিবুর। কিছুক্ষন পর তার আগের স্ত্রী হাছিনা আক্তার নাজমা তার ছেলে রানা (২৫), রবি (১২) ও মেয়ে চৈতীসহ অজ্ঞাত লোকজন এসে তাকে বেধম মারধার করে হাত-পা বেধে মুখে কসটেপ দিয়ে ফ্রিজের কার্টুনে ভরে নদীতে ফেলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়। এসময় তার বাড়িওয়ালী সুরাইয়া, আসমা ও আশ-পাশের লোকজন দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে। ঘটনায় স্বামী হাবিবুর রহমান, হাছিনা আক্তার নাজমা, রবি, চৈতি ও অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। পরে রাতেই গৃহবধু মাসুদা বেগমকে একটি মুছলেখার মাধ্যমে স্বামী হাবিবের হাতে তুলে দেয় পুলিশ। হাবিব বাসায় গিয়ে মাসুদাকে পুনরায় মারধর করে এবং দেড় মাসের শিশুর গালে সিগারেটের ছ্যাকা দেয়। রবিবার সকালে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে এলাকাবাসীর মাঝে বিশাল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এবিষয়ে রবিবার সকালে মাসুদা বেগম আইনি সহযোগিতার জন্য গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে গেলে তাদের সহযোগীতায় পুনরায় আইনি ব্যাবস্থা নেয়।
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মো. কামাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত হাবিবুর ও অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।