তাসলিমা আক্তার সেতু, নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে কাজ করেন। জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত সেতু কয়েকদিন আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। পরে বাড়িতে চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়েছেন। করোনা পজিটিভ থেকে নেগেটিভ হওয়ারও সাতদিন পর বাড়ি থেকে বের হন তিনি।
ওই নার্স করোনামুক্ত হওয়ার পরও প্রতিবেশীদের বিরূপ আচরণের শিকার হচ্ছেন। তাকে গালাগালের পাশাপাশি পা ভেঙে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলার কাজিয়াটি গ্রামে এমন ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নূর মো. সামছুল আলম এবং আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুবীর সরকার।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) দুপুরে মোহনগঞ্জ থানায় এ ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন নার্স তাসলিমা আক্তার সেতু। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, নমুনা পরীক্ষার পর গত ৫ জুন তিনি করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পরামর্শে পৌরশহরের কাজিয়াটি গ্রামে নিজ বাড়িতেই আইসলোশেনে থাকেন।
এ সময় তার বাবা আ. মালেক (৫৯), ছোট বোন আদৃতা (১৪) ও তার সন্তান আদিবা (১৪ মাস) করোনায় আক্রান্ত হয়। গত ২৩ জুন দ্বিতীয় পরীক্ষায় তিনি করোনা নেগেটিভ শনাক্ত হন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, গত সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হন সেতু। এ সময় প্রতিবেশীরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এক প্রতিবেশী তার পা ভেঙে ফেলারও হুমকি দেয়।
থানায় অভিযোগ দায়েরের পর মোহনগঞ্জ উপজেলার হাসপাতালে নার্সদের কক্ষে বসেও স্থানীয় সাংবাদিকদেরও এসব তথ্য জানান সেতু। এ সময় সিনিয়র স্টাফ নার্স উম্মে হাবিবা সরকার, মারুফা খাতুন ও কাজী মনিরা উপস্থিত ছিলেন।
মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান বলেন, ‘করোনাভাইরাস থেকে সেরে ওঠা রোগীর সঙ্গে এমন আচরণ করা অন্যায়। অভিযোগ পেয়েছি। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।