চাল উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয় উল্লেখ করে কানাডাকে বাংলাদেশ থেকে চাল নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক।

মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রাতে অনলাইনে (জুম প্ল্যাটফর্মে) কানাডার কৃষি ও কৃষি-খাদ্য মন্ত্রী ম্যারি-ক্লদ বিবেউ (Marie- Claude Bibeau) এর সাথে বৈঠকে তিনি এ অনুরোধ জানান।

এসময় দুদেশের কৃষিখাত, এগ্রো-প্রসেসিং এবং ট্রেড নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়।

ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বিশেষ করে দানাদার জাতীয় খাদ্যে। সরকারের এখন মূল লক্ষ্য হলো কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণ করে লাভবান করা। আর এর জন্য প্রয়োজন এগ্রো-প্রসেসিং ও কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি করা। বাংলাদেশ এই দুইক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে। সেজন্য এগ্রো-প্রসেসিং যান্ত্রিকীকরণ ও কৃষিপণ্যের রপ্তানিতে কানাডা বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পারে।

ড. রাজ্জাক বলেন, কানাডা বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র। স্বাধীনতার পর থেকেই দুদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক বজায় আছে। কানাডায় মৌসুমি-কৃষি শ্রমিকের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশে কৃষি ডিপ্লোমাধারী প্রচুর দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মৌসুমি ও অস্থায়ী ভিত্তিতে এসব কর্মীকে কৃষি শ্রমিক হিসাবে কানাডা নিতে পারে। এতে দু’দেশই উপকৃত হবে। এছাড়া, বাংলাদেশের কৃষিবিজ্ঞানী, গবেষকদের এবং টেকনিশিয়ানদের উন্নত প্রশিক্ষণের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

এছাড়া, কৃষিমন্ত্রী কানাডায় আম রপ্তানির ব্যাপারে আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করে কানাডার কৃষি ও কৃষি-খাদ্য মন্ত্রী ম্যারি ক্লদ বিবেউ বলেন, কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক বজায় আছে। দুদেশের মধ্যে বিরাজমান বাণিজ্য সম্পর্ক আরো বাড়াতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কৃষি শ্রমিক নেয়া, চাল ও আম আমদানির বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে। এসময় তিনি এগ্রো-প্রসেসিং ও কৃষিপণ্যের বাজারজাতে প্রযুক্তিগত সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন। বাংলাদেশকে কৃষি গবেষণা প্রশিক্ষণসহ কারিগরি সহায়তারও আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।

বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিজানুর রহমান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোলসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থা প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।