আসাদুজ্জামান রিপন (বেনাপোল -যশোর) :
যশোরের বেনাপোল কাস্টমস হাউজের সামনে বোমা হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন পালিত হয়।২২শে অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল১০টার সময় শুরু হয়ে সকাল১১টার সময় এ মানববন্ধন শেষ হয়।
বেনাপোল পৌর ট্রাক টোল আদায়কে কেন্দ্র করে বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির বেনাপোল কার্যালয়ের চেয়ারম্যান ও বেনাপোল, শার্শা,ঝিকরগাছা ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, আজিম উদ্দিন গাজীর বাড়িতে বোমা হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা তার প্রতিবাদে বেনাপোল কাস্টমস হাউজের সামনে মহাসড়কের উপর মানববন্ধন করে বেনাপোলের ব্যাবসায়ী ও রাজনৈতিক অঙ্গসংগঠন।
১৮অক্টোবর শুক্রবার রাত দুই টার দিকে তার নিজ বসত বাড়িতে বোমা হামলা করে সন্ত্রাসীরা।তিনি কাউকে দেখতে পারে নাই, বাড়িতে বোমা হামলা হওয়ায় বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন যার নাম্বার -৭০১তাং১৮/১০/১৯।বোমা হামলার চার দিন অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত কোন সন্ত্রাসী চিহ্নিত বা আটক হয় নাই, তার প্রতিবাদে এসব সংগঠন মানববন্ধন পালিত করে। মানববন্ধনে সাত টি সংগঠনের কর্মকর্তারা অংশ গ্রহণ করে,বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতি,বেনাপোল শার্শা ঝিকরগাছা ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতি,বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন,বেনাপোল সিএন্ডএফ ষ্টাফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন,বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট কর্মচারী ইউনিয়ান,বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ান ৮৯১-৯২৫,যশোর জেলা ট্রাক ও ট্রাকলরি ইউনিয়ন বেনাপোল,এ ছাড়াও আরো অনন্য সংগঠন সহ সাধারণ জনগণ ও মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
এসময় বিভিন্ন সংগঠনের বক্তারা বক্তব্য রাখেন।বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, বেনাপোল শার্শা ঝিকরগাছা ট্রাক মালিক সমিতির চেয়ারম্যান মুসা মাহমুদও প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শার্শা উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুজ্জামান। প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন,পৌর ট্রাক টোল আদায় কেন্দ্র করে যারা এই বোমা হামলা জড়িত তাদের কে আইনের আওতায় আনতে হবে,এবং যে পৌর টোল আদায় হয়েছে সেটা অবৈধ বেইয়ানি,এই বেইয়ানি টোল আদায় ছাড়াও বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধ ভাবে পৌর সভাকে কেন্দ্র করে লুটতরাজ শুরু করেছে।বেনাপোল নিদিষ্ট সময় পৌর নির্বাচন না করে অবৈধ ভাবে খমতা দখল করে লুটতরাজ কর্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।এই অবৈধ্য ভাবে পৌর সভা মেয়র কে জোবর দখল করে রাখতে দেয়া যাবে না তার হুষিয়ারি দেন। বেনাপোল বাসি কোন হুমকি ধামকি ভয়ে বসে থাকবে না।বেনাপোল কে মা হিসাবে বেনাপোল বাসি ভেবে থাকে, সেই মাকে যারা অন্যায় ভাবে প্রতিবাহিত করবে তাদের কে কোন ছাড় দেবে না বেনাপোল সহ শার্শাবাসি।আলটিমেটাম দেন এক সপ্তাহের মাধ্যে বোমা হামলায় কে বা কারা জড়িত তাদের কে দ্রুত খুজেবের করে আইনের আওতাই আনার জন্য প্রশাসনের জোর দৃষ্টি দাবী করে।আইনের আওতাই যদি না আনতে পারে তাহলে আরো কঠোর আন্দলন কর্মসূচি দেয়া হবে।কোন অশুভ শক্তি যেন বেনাপোলের বুকে বোমা হামলা চালাতে না পারে সে দিকে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলে।