ময়মনসিংহের সাবেক কিংবদন্তী ছাত্রলীগ নেতা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল,করোনাকালীন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা ও পেইড সাংবাদিকতা।।সুমন ঘোষ
--------------------------------------------------------------
ময়মনসিংহের সাবেক কিংবদন্তী ছাত্রলীগ নেতা বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭২ বছরের পথচলায় চরম দু:সময়ে যখন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করে বেশিরভাগ ছাত্রলীগ নেতাই তৎকালীন জাতীয় ছাত্রলীগে নাম লিখিয়েছিলেন,সেই সময় স্রোতের বিপরীতে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা রেখে ময়মনসিংহে ছাত্রলীগের কান্ডারী হিসেবে দলের হাল ধরেছিলেন মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ময়মনসিংহ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, আনন্দমোহন কলেজের ভিপি,পরবর্তীতে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত হয়ে দীর্ঘ রাজনৈতিক পরিক্রমার বন্ধুর পথ পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে এসেছেন এড.মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল। এমনকি তার পেশাগত কর্মস্থল আইনাঙ্গনেও তিনি সমধিক জনপ্রিয়,বারে ইলেকশন করে সর্বোচ্চ ভোটে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকান্ডের পর আওয়ামী লীগের ক্রান্তিলগ্নে ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে রাজনৈতিক পথচলায় অসংখ্য নেতা গড়ার কারিগর ত্যাগী নেতা বলে খ্যাত নির্মোহ জীবনযাপনে অভ্যস্ত কর্মীবান্ধব নেতা এড.মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল।
তিনি শুধু একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই নন,তিনি একটি পলিটিকাল ইনস্টিটিউশনও বটে। তাঁর হাতেগড়া কর্মীরা মহান জাতীয় সংসদে এমপি ও মন্ত্রী হিসেবে সরকারের সাথে সফলভাবে কাজ করছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উত্তরাধিকার জননেত্রী শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের রাজনৈতিক সৌভাগ্য ঘটেছিলে তাঁদের কর্মী/ভাবশিষ্য/সহকর্মী হিসেবে কাজ করার যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর/ জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন,জাতীয়ভাবে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়েছেন--বঙ্গবন্ধু যাদের নাম তাঁর লেখনী অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে উল্লেখ করেছেন...তন্মধ্যে সর্বজনশ্রদ্ধেয় জননেতা প্রয়াত রফিকউদ্দিন ভূইয়া ও জননেতা এম শামসুল হক অন্যতম এবং শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত সহচর প্রয়াত জননেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
জাতির পিতার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ৭৫ পরবর্তী সময় থেকে অদ্যবধি ছাত্রলীগ নেতা থেকে পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে ময়মনসিংহের যে নামটি প্রথমেই মনে করেন /যে নামটি চিনে ও জানে সে নামটি হলো মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল---যার পুরস্কার হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে উপহার দিয়েছেন মিনি পার্লামেন্টখ্যাত ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ।
একজন মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল পদ্মপাতার ন্যায়,জলে থাকে কিন্তু ভিজেনা.... ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেও ক্ষমতার অপব্যবহার করেনা।
এখনো থাকেন বাড়া বাসায়,চলেন রিক্সায়/অপরের হোন্ডায়-গাড়ীতে/ভাড়ার গাড়িতে।নিজের আইনপেশার উপার্জিত অর্থ ও স্ত্রীর অধ্যাপনার বেতন দিয়ে সংসার চালিয়ে ও একমাত্র মেয়ের পড়াশোনার খরচ জুগিয়ে বাকী অর্থ আওয়ামী লীগ তথা রাজনৈতিক অঙ্গন/সামাজিক/মানবিক সেবায়/সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যয় করেন।
তাঁর সাথে দেখা করতে কোন মিডিয়া লাগেনা, প্রয়োজন হয়না কোন এপয়েনমেন্টের, যে কেউ নির্দ্বিধায় তাকে ফোন করতে পারে, দেখা করতে পারে ও বাসায় গেলে আপ্যায়িতও হয়। রাজনৈতিক/ সামাজিক/সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষের কাছে তার দিন-রাত সমান।
বঙ্গবন্ধু অন্ত:প্রাণ রাজপথের মুজিব সৈনিক তাঁর অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাগত আদর্শের বীজ নিজ পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়-স্বজনের মাঝেও সমভাবে বপন করেছেন যা বর্তমানে তথাকথিত ব্যালেন্সের রাজনীতিতে একেবারেই বিরল।
এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল নিজেকে এখনো আওয়ামী লীগের কর্মী পরিচয় দিতেই পছন্দ করেন, তিঁনি গান পছন্দ করেন,নিজে অাবৃত্তি করেন,প্রচুর পড়া-শোনা করেন, চিরায়িত বাংলার প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ ঘটা করে উদযাপন করেন ,শিশুদের নিয়ে সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার অায়োজন করেন, দলীয়-জাতীয় সকল দিবস নিজে উদ্যোগী হয়ে পালন করেন, বঙ্গবন্ধু ও প্রিয় নেত্রীর জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনার আলোকপাত করতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হন, এমনকি এখনো দলীয় একজন কর্মীর মতো নিজে বজ্রকন্ঠে শ্লোগান ধরেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব অর্পণ করার পর সাবেক একঝাঁক বঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতাকে তিনি কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করতে মূল ভূমিকা রেখেছেন এবং শত প্রতিকূলতার মাঝেও আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের চর্চা অব্যাহত রাখতে কমিটিতে অধিকহারে নারীর অন্তর্ভূক্তি ঘটিয়ে নারীদের রাজনৈতিক পথ সুগম করেছেন।
বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালীন সংকটে মাদার অব হিউম্যানিটি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে সাথে নিয়ে ময়মনসিংহের ১০ টি সংসদীয় আসনে ব্যাপকভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য উপহার ও অন্যান্য মানবিক সহযোগিতা অদ্যবধি চালু রেখেছেন এবং ফ্রন্টলাইনের করোনাযোদ্ধাদের উৎসাহ-উদ্দীপনা দিতে ব্যতিক্রমী কর্মসূচি অবিরাম হাততালি অনুষ্ঠানও তিনি করেছেন।
করোনাকালীন জাতির মহাদুর্যোগপূর্ণ সময়ে পবিত্র রমজান মাসজুড়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনি নিজে, তার স্ত্রী,একমাত্র কন্যাসন্তান ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীবৃন্দকে সাথে নিয়ে রান্না করা খাবার বিতরণ করেছেন, তাঁর স্ত্রী নিজ চাকুরির বেতন-বোনাসের টাকা সাময়িক অভাবগ্রস্ত দলীয় কর্মী ও করোনাক্রান্তদের সাহায্যার্থে ব্যয় করেছেন, পবিত্র ঈদে অসহায়-হতদরিদ্র ও অভাবগ্রস্তদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেছেন, রক্তদান কর্মসূচী করেছেন, এমনকি সামাজিক সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে মধ্যবিত্ত,নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও দলীয় অভাবগ্রস্থ নেতা-কর্মীদের অতি সঙ্গোপনে আর্থিক সাহায্যও করেছেন।
আজকেও পবিত্র ঈদ-উল -আযহার দিনে নিজ বাসস্থানের সামনে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে।
বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকান্ডের পর ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ের অসাংবিধানিক ও অবৈধ সরকারগুলোর আমল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ বাদে যত সরকারই ক্ষমতা এসেছে তাদের সকলের আমলেই জেল,জুলুম,মিথ্যা মামলা, হামলা, শত অন্যায়-অত্যাচার সহ্য করে ময়মনসিংহ অঞ্চলে রাজনৈতিক ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী অল্প কয়েকজন নেতার মাঝে অন্যতম এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল।
জীবনের ৭ টি স্বর্নালী বছর জেলখানায় কাটিয়েছেন এবং জীবনের চারটি ঈদ জেলখানায়ই কাটিয়েছেন। উল্লেখযোগ্য একটা সময় তার নিজের শিশুকন্যা ও স্ত্রী চরম অাশঙ্কায় মানবেতর জীবন কাটিয়েছেন, নিজ দলের সরকার ক্ষমতায় থাকার সময়েও স্ত্রীর জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা থাকা সত্বেও একটা সরকারী চাকুরী লাভে সচেষ্ট হননি।
জেল-জুলুম,মামলা-হামলা, অন্যায়-অত্যাচার সহ সকল প্রকার নির্যাতন সহ্য করে ময়মনসিংহ অঞ্চলে মুজিব আদর্শের আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী তৈরী করে দলকে শক্তিশালীকরণে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন পরমসহিষ্ণুতার জ্বলন্ত প্রতিচ্ছবি এড. মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল।
এড. মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল নিজের যোগ্যতা, দক্ষতা, মেধা, পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কারণেই আজকের এই অবস্থানে পৌছাতে সক্ষম হয়েছে বলে তার সমালোচকরাও অকপটে স্বীকার করবেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের সাংগঠনিক দক্ষতায় ভীত হয়ে মীরজাফর-মোস্তাকের বংশধর তথা অপপ্রচারকারী রাজনৈতিক দুষ্টচক্র কুচক্রীমহল তাঁর বিরুদ্ধে কূটকৌশল ও ষড়যন্ত্রে সদাব্যস্ত।
ইদানীং এদের সাথে যোগ দিয়েছে সাংবাদিক নামধারী কতিপয় পেইডম্যান, যারা হলুদ সাংবাদিকখ্যাত কলমসন্ত্রাসী।
কুচক্রীমহলের পেইড এজেন্ট হয়ে সম্প্রতি একটি দৈনিক পত্রিকায় এড.মোয়াজ্জম হোসেন বাবুলের বিরুদ্ধে কাল্পনিক অভিযোগের পসরা সাজিয়ে দূরঅভিসন্ধিমূলক সংবাদ ছেপেছে, তার বিরুদ্ধে জমি দখলসহ বিভিন্ন ভিত্তিহীন মনগড়া অভিযোগ করেছে।বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগ,তাই কোন কিছুই লুকিয়ে রাখা সম্ভব নহে, এরকমটি ঘটে থাকলে ময়মনসিংহবাসী নিশ্চয়ই জানত। খবরটি মনযোগ দিয়ে পাঠ করলে নিরপেক্ষভাবে অনুধাবন করলে দিবালোকের ন্যায় পরিষ্কার বুঝা যায় যে এটা একটি ফরমায়েসী খবর,যিনি নিউজটি করেছেন তিনি একজন পেইড সাংবাদিক। আমরা বিশ্বাস করি, এড. মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচারে নেমেছে, তারা আওয়ামী লীগের শত্রু, সমাজের মানবিক মানুষের শত্রু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশেরও শত্রু।
বঙ্গবন্ধুর অাদর্শিক কর্মী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন জনপ্রিয় সংগঠক হিসেবে আওয়ামী লীগ ও দলীয় নেতা-কর্মীদের ভালোবেসে যে নেতা চার দশকের অধিককালের রাজনৈতিক জীবনে ৯ বারে ৭ বছরের অধিককাল বিনা বিচারে জেলখানায় কাটিয়েছেন এবং মিথ্যা খুনের হুলিয়া মাথায় নিয়ে প্রিয় নেত্রীর নির্দেশে দীর্ঘদিন পার্শ্ববর্তী দেশে আত্মগোপনে ছিলেন, দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিজীবনে নিরঅহঙ্কার সদালাপী সমমনা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দও যার রাজনৈতিক প্রজ্ঞার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সেই নিবেদিতপ্রাণ কিংবদন্তী জননেতা এড. মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের বিরুদ্ধে যারা ঘৃন্য ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন, আপনাদেরকেই বলছি ; আপনারা কি মৃত্যুপরবর্তী পরকাল নিয়ে এতটুকু্ও ভীত নন?
এই ঘৃন্য অপকর্ম ও ষড়যন্ত্রের জন্য কি আপনাদের পরপারে জবাবদিহিতা করতে হবেনা?
পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার সিসিটিভি চলতে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়না,তিনি জগতের সবকিছুই অদৃশ্যভাবে দেখছেন।
একবারও কি ভেবেছেন করোনাকালীন মানবিক সংকটময়মুহূর্তে আত্মত্যাগে বলীয়ান হওয়ার সময় ঈদ-উল-অাযহার মুহূর্তে আপনাদের পেইড এজেন্ট কর্তৃক কাল্পনিক ও অসত্য লেখনী একটি মানবিক পরিবারকে কতটা পীড়া দিতে পারে?
আপনাদের ঘৃন্য কর্মকান্ডে এড.মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল মহোদয়ের সুযোগ্য স্ত্রী অধ্যাপক দিলরুবা সারমীন, ময়মনসিংহের রাজনৈতিক-সামাজিক ও মানবিক সংগঠক হিসেবে স্ব-পরিচয়ে ভাস্বর যিনি---তিনি আপনাদের হঠকারিতায় প্রতিবাদের ভাষাও হারিয়ে ফেলেছেন।
তাদের একমাত্র মেধাবী কন্যা অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল প্রখ্যাত অাবৃত্তিশিল্পী "নুঝাত অানজুম রাহা" এভাবেই তার অনুভূতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যক্ত করেছেন....
" দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে লেখা আর্টিকেল টা পড়লাম। লেখাখানি পড়েই বোঝা যাচ্ছিলো এ এক অপটু হাতের অগোছালো বিবরণ। আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক দিয়ে যতদূর বুঝলাম আর্টিকেল টা লেখানো হয়েছে এক স্বার্থান্বেষী মহলের দৌরাত্ম্যের জোড়ে। এসব করে কতোদিন? কেনো করছেন? কি পাচ্ছেন? সাময়িক তৃপ্তি ছাড়া আমি তো এখানে আর কিছু দেখছি না।
আমার বাবা এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন কে গড়েছেন আমার, আমাদের নেত্রী
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা........
সেই মানুষের ভিত কখনো এই সামান্য ঠুনকো লেখা দিয়ে নাড়ানো যায় না। এই মানুষ টা একটা স্তম্ভ। আমার বাবার আছে ইতিহাস, আছে শিক্ষা, আছে অভিজ্ঞতা, মেধা, সততা।
সাংবাদিকতা আজ এতো কেনো ঠুনকো? সামান্য অর্থের সামনে এভাবে নিজেকে ছোটো করতে লজ্জা লাগলো না আপনার? অনায়াসে মেধা বিক্রি করে দিলেন। আমার মা আমাকে একটা কথা বলেছিলেন জীবনে কিছু ভুল থাকে যে ভুল গুলো ভুল করেও করা উচিত না। আপনাদের ব্যপার টা তেমনি৷ যে ভুল করেছেন তা ভুল করেও করা উচিত ছিলো না আপনাদের।
মনে রাখবেন মহা সাগর এর গায়ে কখনোই কালিমা লাগে না। মহা সাগরে ফেলে দেওয়া কিছু মহা সাগর তা নিজের কাছে রাখে না কখনোই, অবশ্যই তা ফিরিয়ে দেয়। আমার বাবা তো মহা সাগর.......
ফিরিয়ে দেওয়া হবে আপনাদের উচ্ছিষ্ট।
আমার বাবার বিষয়ে কলম ধরার যোগ্যতা আগে অর্জন করুন। ভুল করেও ভুল করবেন না।
স্মৃতির মিনার ভেঙেছে তোমার?
ভয় কি বন্ধু,
আমরা এখনো চার কোটি পরিবার
খাড়া রয়েছি তো!
যে ভিত কখনো কোনো.....
রাজন্য পারেনি ভাঙ্গতে।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু। "
কলমসন্ত্রাস ও ঘৃন্য ষড়যন্ত্রের শিকার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড.মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল উপর্যুক্ত কাল্পনিক অভিযোগ পত্রিকায় ছাপানোর পরিপ্রেক্ষিতে পত্রিকা কর্তৃপক্ষ বরাবর তীব্র প্রতিপাদসহ একটি প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছেন এবং সরকার ও দলের নিকট সুষ্ঠ-নিরপেক্ষ তদন্তেরও জোর দাবী জানিয়েছেন।
তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এভাবেই অাবেঘঘন ভাষায় তার অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন....
" আমার আগুনঝরা দিনগুলোর কথা আজ মনে পড়ছে। মাসের পর মাস বছরের পর বছর কারাগারের দিনগুলো চোখে ভাসছে। বিদেশে পলাতক থাকার জীবনে পকেটে ১ টাকা থাকার কাহিনীটি মনে পরছে। আর এই সবগুলোর সাথেই একটি মানুষ আমাকে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। তিনি আমাদের মায়াবতী মমতাময়ী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
মুসলমানের সন্তান হিসেবে উপরে আমার রব নিচে মাটি বুকে হাত দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কসম খেয়ে আমি বলতে পারি আমি দুর্নীতি করি না। একটা সময় ছিলো....... ছাত্র রাজনীতির চূড়ান্ত পর্যায়ে বাকশাল, জাতীয় পার্টি, বি এন পি, জামাত শিবির এবং কুখ্যাত ফ্রিডম পার্টির মোকাবিলায় অনেক সাহসী কর্মকান্ড করেছি। সেই দিনগুলোর কথা মনে পরছে।
আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী শেখ হাসিনার কর্মী। আমার জানা মতে আমার দ্বারা শেখ হাসিনার রাজনীতি সামান্যতম বিতর্কিত হবে এটা সম্ভব নয়৷ জেলা আওয়ামীলীগ এর কমিটি হওয়ার পর আমি অনেক কিছুর বিরোধিতার সম্মুখীন হচ্ছি পাশাপাশি আঞ্চলিক ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানমালা আয়োজনে চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি এক্ষেত্রে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ময়মনসিংহ জেলা শাখাই সারা বাংলাদেশে সেরা।
আমার সংগঠনের সভাপতি এডভোকেট জহিরুল হক খোকা মহোদয় একজন জ্ঞানী গুণী বিচক্ষণ রাজনীতিবীদ এবং আইনজীবী আমি তাঁর জুনিয়র আইনজীবী। আজ আমার মনে পড়ছে আমার নেতা মরহুম শামসুল হক এমপি সাহেবের কথা। তিনি আমাকে বলতেন সামনে যাবে এগিয়ে চলবে ভয় পাবে না। কে সাথে রইলো আর কে রইলো না হিসাব করবে না তোমার চলাটাই প্রধান। একজন সাংবাদিক বিন্দুমাত্র বিবেচনা না করে মিথ্যা বানোয়াট উক্তি তে ফরমায়েশ পালন করেছেন। তার জন্য আমার করুণা হয় আর এ কাজ যারা করিয়েছেন আমার বিশ্বাস তাদের সাথে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। তাদের নৈতিকতার পতনের কথা বলবো না। আমি বলবো তারা ভুল করেছেন। তাদের চরিত্রের সাথে আমাকে একাকার করতে চেয়েছেন। কি লাভ এসব করে? আমি স্প্যাসিফিক করে বলতে পারছি না তাদের নাম ঠিকানা তবে তাদের কে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হেদায়েত করুক যাতে আগামী দিনে একসাথে কাজ করতে পারি।
শেষে বলছি একজন সাংবাদিক নিউজ করেছিলো কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় আমি ৩৭ কোটি টাকা নিয়েছি। তিনি এখন পরপারে চলে গেছেন আমি তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। তাঁর সাথে সম্পর্কটা ভালোই ছিলো। আমি তাকে খুব ক্লোজ অবস্থান থেকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম এমন মিথ্যে নিউজ কেন করলেন? তিনি আমাকে জবাব দিয়েছিলেন যাই হয়েছে ভুলে যান সঠিক তো নয় চাপের কারনে এই মিথ্যা নিউজটি করতে হয়েছিলো।
এখন রাজনীতিটা কেমন হয়ে গেছে। একটি সভায় আমি ইতিহাস বলতে গিয়ে ইতিহাসের এক নায়ক অধ্যক্ষ মতিউর রহমান স্যারের গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাসের কথা বলেছিলাম। আমার এক সাথী সভা শেষে আমাকে বল্লেন কাজটা কি ভালো করেছেন? আমি শুধু বললাম আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের মতো সেলুকাস বড় বিচিত্র এ দেশ! সব শেষে সাংবাদিক সাইদুর রহমান রিমন সাহেব কে বলছি আমি তো আপনাকে জানি না চিনি না আপনি আমার ক্ষতি করলেন কেনো?
আমি বাকি পথ চলায় আরও সতর্ক হবো তবে জেনে রাখবেন দূর্নীতি থেকে দূরে ছিলাম দূরে আছি দূরে থাকবো সাথে থাকবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আর আমার মহান নেতা শেখ হাসিনা৷ আপনার বক্তব্য কে চ্যালেঞ্জ করলাম।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু। "
ইতিহাসের অমোঘ সত্য, ষড়যন্ত্রকারীরা একসময় ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়।
আশা করি একদিন সত্যের দ্বার উন্মোচিত হবে। আঁধার কেটে নব সূর্যের উদয় ঘটবে।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই গড়ে উঠবে,একদিন মানবিক বাংলাদেশে অন্যায়-অসত্য দূরীভূত হবে এবং সত্য-ন্যায় ও সাম্যের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধুু
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ ৩৩ কাচারী রোড, ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবি সমিতির ৪ ও ৫ নং ভবনের বিপরীত পাশে।
ঢাকা কার্যালয়ঃ কে ৭৪/৫,কোরাতলী এআই ইউবি রোড খিলক্ষেত, ঢাকা, ১২২৯।
যোগাযোগঃ 01917925375 /01736554862 / 01721927699
প্রকাশক: মারুফ হোসেন কমল