দায়েরকৃত ১ম মামলাঃ
গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী উৎপল কুমার দে ও তার স্ত্রী মিসেস গোপা দে-এর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা দায়ের করা হয়েছে দুদক ।
আজ দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
১. মিসেস গোপা দে স্বামী- জনাব উৎপল কুমার দে এবং
(২) উৎপল কুমার দে, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (রিজার্ভ), গণপূর্ত অধিদপ্তর, ঢাকা।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে দুর্নীতির মাধ্যমে ৬,৬২,৬৮,৭৫৪/- (ছয় কোটি বাষট্টি লক্ষ আটষট্টি হাজার সাতশত চুয়ান্ন) টাকার জ্ঞাত আয়ের সাথে অসংগতিপূর্ণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করে তা নিজেদের ভোগ দখলে রেখে উক্ত সম্পদ বৈধ করার অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময়ে রুপান্তর/স্থানান্তর/হস্থান্তর করে মানি লন্ডারিং এর মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় এবং মানি-লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারাসহ দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বিধায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার অভিযোগে আরো বলা হয়, গোপা দে’র নামে বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ অর্থের লেনদেন হয়েছে মর্মে দেখা যায়। প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণ ও অন্যান্য পারিপার্শিক বিষয়াদি পর্যালোচনা করে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, ১নং আসামী মিসেস গোপা দে ২নং আসামী স্বামী- উৎপল কুমার দে-এর প্রত্যক্ষ যোগসাজসে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ পন্থায় ৬,৬২,৬৮,৭৫৪ (ছয় কোটি বাষট্টি লক্ষ আটষট্টি হাজার সাতশত চুয়ান্ন) টাকার জ্ঞাত আয়ের সাথে অসংগতিপূর্ণ অবৈধ সম্পদ অর্জন পূর্বক তাদের ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় এবং উক্ত সম্পদ বিভিন্ন সময়ে রুপান্তর/স্থানান্তর/হস্থান্তরের মাধ্যমে মানি-লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারাসহ দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
* দায়েরকৃত ২য় মামলাঃ
গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী উৎপল কুমার দে-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক।
* আসামিঃ
মামলায় উৎপল কুমার দে, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (রিজার্ভ), গণপূর্ত অধিদপ্তর, ঢাকা-কে আসামি করা হয়।
* সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
মামলার অভিযোগে বলা হয়, একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে দুর্নীতি এবং বিভিন্ন অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের সাথে অসংগতিপূর্ণ ১,১৮,১৭,৯০৩/- টাকার সম্পদ অর্জন করে তা নিজ ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় এবং উক্ত অবৈধ সম্পদ বৈধ করার অসৎ উদ্দেশ্যে স্থানান্তর/রুপান্তর/হস্তান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বিধায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার অভিযোগে আরো বলা হয়, অনুসন্ধানকালে আসামি উৎপল কুমার দে-র নামে অর্জিত সম্পদের তার বেতন-ভাতা ব্যতীত অন্যকোন সুনির্দিষ্ট বৈধ আয়ের উৎস পাওয়া পযায়নি। প্রকৃত পক্ষে তিনি সরকারি কর্মচারী হিসেবে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ পন্থায় অর্জিত অর্থ দ্বারা এসব স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ/সম্পত্তির মালিকানা অর্জন করেছেন মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণে প্রতিষ্ঠিত হয়।
এই মামলা দুইটি জিকে শামীমসহ সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধান থেকে উদ্ভুত।
দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী বাদী হয়ে মামলা দুইটি দায়ের করেন।