বৃহস্পতিবার ১৩ জুলাই বেলা সাড়ে বারটায় এই অভিযোগে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউ-এর অগ্রণী ব্যাংক লি: বঙ্গবন্ধু এভিনিউ শাখা ঢাকা হতে মো. মোছাব্বির নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
দুদক সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পায়, জনৈক এক বা একাধিক ব্যক্তি দুদকের মনোগ্রাম সংবলিত প্যাড ও একজন দুদক কমিশনারের নাম, স্বাক্ষর ও পদবি ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন ঔষুধ কোম্পানিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে দুদকের ম্যাগাজিন প্রকাশের নামে বিজ্ঞাপন চেয়ে অর্থ দাবি করছে। দুদক বিষয়টি অবহিত হয়ে প্রতিষ্ঠানটির গোয়েন্দা অনুবিভাগের পরিচালক মীর মোঃ জয়নুল আবেদীন শিবলীর তত্বাবধানে দুদকের উপপরিচালক এ.কে. এম মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করে। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন উপপরিচালক মোঃ মশিউর রহমান ও সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। এই টিম তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে নিশ্চিত হয় যে, একাধিক প্রতারক এভাবে প্রতারণার মাধ্যমে মানুষকে ঠকিয়ে অর্থ আদায় করছে। দুদক টিম জানতে পারে আজ প্রতারক চক্রের এক সদস্য অগ্রনী ব্যাংক বঙ্গবন্ধু এভিনিউ শাখায় এসে প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত এই টাকা উত্তোলন করবেন। আজ সকাল থেকেই দুদক টিমের সদস্যরা ব্যাংকটির আশে-পাশে ওঁৎ পেতে থাকে। প্রতারক মোঃ মোছাব্বির হোসেন ব্যাংকে আসলেই দুদক টিম তাকে চ্যলেঞ্জ করে এবং ব্যাংক হিসাব নম্বরসহ টাকা জমার বিষয়টি তুলে ধরে এবং তাৎক্ষণিকভাবে তাকে গ্রেফতার করে। দুদক নিশ্চিত হয় দুদকের হাতে ২০১৭ সালে গ্রেফতার হওয়া প্রতারক মোঃ নজরুল ইসলান নাঈমের টিমের সদস্য এই মোছাব্বির হোসেন। এর আগে ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল একই জাতীয় অপরাধে মোঃ নজরুল ইসলাম নাইমের বিরুদ্ধে রামপুরা থানা মামলা করেছিল দুদক, যার নং ২৮, তারিখ: ১৯-৪-২০১৭ এবং ঐ সময় উক্ত মামলায় রামপুরা হতে তাকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। ঐ মামলাটি এখনও বিচারাধীন।
এ প্রেÿাপটে আজ দুদকের উপপরিচালক এ. কে. এম মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে দÐবিধির ৪০৬/৪৬৮/৪৭১/ ৪৭৬/১০৯ ধারায় মোঃ নজরুল ইসলাম নাঈম ও মোঃ মোছাব্বিরের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ।
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ ৩৩ কাচারী রোড, ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবি সমিতির ৪ ও ৫ নং ভবনের বিপরীত পাশে।
ঢাকা কার্যালয়ঃ কে ৭৪/৫,কোরাতলী এআই ইউবি রোড খিলক্ষেত, ঢাকা, ১২২৯।
যোগাযোগঃ 01917925375 /01736554862 / 01721927699
প্রকাশক: মারুফ হোসেন কমল