থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের প্রতি অসদাচরণ ও রাজতন্ত্রের প্রতি আনুগত্যহীনতার অভিযোগে তার সঙ্গীর মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এক আনুষ্ঠানিক আদেশে বলা হয়েছে, সিনেনার্ট ওঙ্গভাজিরাপাকদি ‘উচ্চাভিলাষী’ এবং নিজেকে ‘রানির সমকক্ষ ভাবতে শুরু করেছিলেন’।
সোমবার সিনেনার্টের পদবী প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে রয়্যাল গেজেটে। খবর বিবিসির। রাজসঙ্গীর আচরণ রাজপরিবারের প্রতি অশ্রদ্ধার ছিল বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।
ঘোষণায় বলা হয়েছে, রাজতন্ত্রকে কোনোরকম সমস্যা এবং চাপ থেকে মুক্ত রাখার আশায় রাজা সিনেনার্টকে রাজসঙ্গীর মর্যাদা দিয়েছিলেন। চতুর্থ স্ত্রী রানি সুথিদাকে বিয়ের দুই মাস পর গত জুলাইয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল রাজার সঙ্গী সিনেনার্টকে।
সিনেনার্ট একজন মেজর জেনারেল ও পেশাদার পাইলট। তিনি নার্স ও দেহরক্ষীর কাজও করতেন।
গত জুলাইতে রাজকীয় সঙ্গী নির্বাচিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি নজিরও গড়েন সিনেনার্ট। গত এক শতকে তিনিই প্রথম নারী হিসেবে এই উপাধি পান। অন্যদিকে, ৪১ বছর বয়স্ক রানি সুথিদা রাজার সাবেক ফ্লাইট এটেনডেন্ট এবং তার দেহরক্ষী ইউনিটের প্রধান ছিলেন।
রাজা ভাজিরালংকর্নের দীর্ঘদিনের সহযোগী তিনি এবং বহু বছর ধরে রাজার সঙ্গে জনসম্মুখেও সুথিদাকে দেখা গেছে।