শামীম খান, গৌরিপুর
ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার পালুহাটি গ্রামে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে নিহত ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াহাবের পরিবার ও হত্যা মামলার এজহারে উল্লেখিত স্বাক্ষীদের নামে পাঁচটি মিথ্যা অভিযোগ ও মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে আসামী পক্ষের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া আসামীরা জামিনে এসে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে।বাদী ও তার পরিবারের প্রতিনিয়ত মামলার আতংকে দিন কাটছে। ফলে হত্যার ন্যায় বিচার নিয়ে শংকিত তারা।
নিহত ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াহাবের স্ত্রী ও মামলার বাদী নাসরীন পারভীন জানান, আমার স্বামীকে যারা হত্যা করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর থেকে তারা আমাকে নানা ভাবে ভয় দেখাচ্ছে। তারা আমার স্বামীর পরিবার, আমার মামলার স্বাক্ষী এমনকি যারা আমাকে কোন ধরনের সহযোগীতা করছে তাদেরকেও বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এ পর্যন্ত পাঁচটি মামলা করেছে আসামী পক্ষের লোকজন।
তিনি আরো বলেন, এখন তো মনে হচ্ছে আমি আমার স্বামী হত্যার বিচারই পাবোনা।
আব্দুল ওয়াহাবের ভাতিজা শাকিল আহমেদ শুভ জানান, আমার চাচার মৃত্যুর পর থেকে এই পরিবারটিকে আমি দেখাশুনা করছি। কিন্তু আমার চাচার হত্যাকারীরা আমাকে ও আমার বাবা সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যকে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। তারা প্রথমে গৌরিপুর থানায় আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ভাংচুরের মামলা দেয়। পরে পুলিশ তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা না পেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। পরবর্তীতে তারা আবার একই অভিযোগ এনে আলাদা আলাদা বাদী করে আদালতে আরো চারটি মামলা করেছে। এর মধ্যে একটি ডিবি, একটি পিবিআই ও বাকী দুটি আদালতে শুনানীর অপেক্ষায় রয়েছে।
আব্দুল ওয়াহাব হত্যা মামলার স্বাক্ষী জিয়াউর রহমান বলেন, এক মামলার স্বাক্ষী হয়ে এখন চার মামলার আসামী হইলাম। তিনি আক্ষেপ করে বলেন এই অবস্থা হলে চোখের সামনে খুন হলেও কেউ মুখ খুলবে না। আর কেউ কোন মামলার স্বাক্ষী হবেনা। তিনি দাবী জানান, আমি এই হয়রানি থেকে মুক্তি চাই।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ গোয়েন্দা শাখার ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, হত্যা মামলার বিপরীতে কোন মামলা করার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, গৌরিপুরের পালুহাটি গ্রামে বাড়িঘর ভাংচুরের একটি অভিযোগ আদালত থেকে আমরা পেয়েছি। ইতিমধ্যে তদন্তে জানা গেছে এই মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তারা অধিকাংশই একটি হত্যা মামলার স্বাক্ষী ও পরিবারের সদস্য। হত্যা মামলার বিষয়টি মাথায় রেখেই তদন্ত করা হবে। এখানে কাউকে হয়রানি করা হবে না ।
উল্লেখ্য গত ১লা মে ২০২০ পূর্ব শত্রæতার জেড় ধরে ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াহাবকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষরা। পরবর্তীতে তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকা নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে ২০দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আদালতে পালুহাটি গ্রামের শফিউল আলম ফেরদৌস (৪৫) ও শরিফ আলম অভি (৩০) সহ ২৯ জনের নাম উল্ল্যেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করে। এর আগে একই ঘটনায় গৌরিপুর থানায় মারামারি অভিযোগে মামলা হয়েছিল।
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ ৩৩ কাচারী রোড, ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবি সমিতির ৪ ও ৫ নং ভবনের বিপরীত পাশে।
ঢাকা কার্যালয়ঃ কে ৭৪/৫,কোরাতলী এআই ইউবি রোড খিলক্ষেত, ঢাকা, ১২২৯।
যোগাযোগঃ 01917925375 /01736554862 / 01721927699
প্রকাশক: মারুফ হোসেন কমল