স্টাফ রিপোর্টার:
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নমূলক কর্মসূচি’র আওতায় আউট অব স্কুল চিল্ড্রেন এডুকেশন (সাব-কম্পোনেন্ট ২.৫, পিইডিপি৪) কর্মসূচি বাস্তবায়নে ডেভলেপমেন্ট অফ ইডুকেশনাল সার্ভিস ফর হিউমেন (দেশ) ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা এবং লালমনিরহাট জেলায় ইওআই দাখিল করে ৩টি জেলাতেই শর্টলিস্ট এনজিও (প্রতি জেলায় ৭টি করে) এর মধ্যে ২য় স্থান অর্জন করে নির্বাচিত হয়ে আরএফপি দাখিল করে এবং উপরোক্ত জেলাগুলোতে ফিনানসিয়াল রিকুইজিশনে চারটি (৪) করে এনজিও নির্বাচন করা হয় যার মধ্যে “দেশ” অবস্থান করে। উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে এনজিও নির্বাচনের মূল্যায়ন নম্বর অনুযায়ী শতভাগ নম্বর পাওয়ার যোগ্য এবং কর্মএলাকায় “দেশ” এর নিজস্ব অফিস ও কার্যক্রম বিদ্যমান।
আউট অব স্কুল চিল্ড্রেন এডুকেশন (সাব-কম্পোনেন্ট ২.৫, পিইডিপি৪) কর্মসূচির আরএফপি মূল্যায়নে ময়মনসিংহ জেলায় দেশ সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে ১ম হয়।
দেশ’কে ২য় করে অদৃশ্যভাবে শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র (এসপিবিকে) নামক এনজিও কে কাজ দেওয়ার অভিযোগ দেশ এনজিও’র। ময়মনসিংহে লিড এনজিও হিসেবেও এসপিবিকে নির্বাচিত করা হয়েছে, যার কোন অস্তিত ময়মনসিংহ জেলাতে নেই।
অভিযোগে রয়েছে, এসপিবিকে নামক এনজিও ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক এনজিও পোর্টাল কিংবা মাসিক এনজিও’র সমন্বয় সভার বিগত ১৫ বছরের রেজুলেশনে নাম বা কার্যক্রমের কোন উল্লেখ নেই, যা ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের এনজিও মাসিক এনজিও’র সমন্বয় সভার রেজুলেশন এবং ময়মনসিংহ জেলা এনজিও পোর্টাল ভিজিট করলে এর প্রমাণ মিলবে। অথচ আরএফপি মূল্যায়নে ৭টি পয়েন্টের ৫ নং পয়েন্টে ১০০ নম্বরের মধ্যে কর্মএলাকায় কাজ ও স্থায়ী অফিসের জন্য ২০ নম্বর রয়েছে যা এসপিবিকে এনজিও পাওয়ার অযোগ্য এবং এ এনজিও ইওআই’তেই বাতিলের যোগ্য।
অভিযোগে আরো জানা যায়, এসপিবিকে মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা এবং ময়মনসিংহ জেলায় আরএফপি দাখিল করায় উক্ত এনজিও কে আরএফপি মূল্যায়ন ২ নং ক্রমিক অনুযায়ী ১৫ নম্বর পেতে পচাত্তোর লক্ষ (৭৫ লক্ষ) টাকা ব্যাংক ব্যালেন্স থাকতে হবে, কিন্তু এসপিবিকে এর উল্লেখিত ব্যাংক ব্যালেন্স নেই যা ব্যুরো কর্তৃপক্ষ ব্যাংক ভেরিফিকেশনে ডকুমেন্ট দেখলেই প্রমাণ মিলবে। যার ফলে এসপিবিকে আরএফপি মূল্যায়নে ব্যাংক ব্যালেন্সের ১৫ নম্বর পাওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়।
অন্যদিকে, যে এনজিও’র অস্তিত্ব ময়মনসিংহ জেলায় নেই তাকে কিভাবে লিড এনজিও হিসেবে গন্য করা হয়েছে এই নিয়ে ময়মনসিংহ এনজিও মহলে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। দেশ ছাড়াও ময়মনসিংহ জেলায় ফাইনাল তালিকায় ছিল বাংলাদেশ মহিলা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন (বিএমইউএফ)। তালিকার র্শীষে থেকে এসব এনজিও কিভাবে ময়মনসিংহ জেলা থেকে বাতিল বলে গণ্য হলো এবং অন্য একটি অস্তিত্বহীন বহিরাগত এনজিও (এসপিবিকে) আউট অব স্কুল চিল্ড্রেন এডুকেশন (সাব-কম্পোনেন্ট ২.৫, পিইডিপি৪) কর্মসূচিতে লিড এনজিও হিসেবে গণ্য হয় তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা ও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
রিট করার কথা বলে ময়মনসিংহের স্থানীয় এনজিও সমূহ জানায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নমূলক কর্মসূচি সঠিক ও শতভাগ বাস্তবায়নে কোন অনিয়ম চলতে দেওয়া হবে না, কোন অনিয়ম আমরা মেনে নিবো না। যদি কর্তৃপক্ষ এটি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, ও লালমনিরহাট জেলায় লিড এনজিও নির্বাচনে পুনঃমূল্যায়ন না করেন তবে বিষয়টি আদালতে গড়াবে। “দেশ” তিনটি জেলায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে তালিকার শীর্ষে (১ম) থাকা সত্ত্বেও একটি জেলাতে লিড এনজিও হিসেবে নিবার্চন করা হয়নি, যা অতন্ত্য দুঃখজনক ও চরম অনিয়ম।
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ ৩৩ কাচারী রোড, ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবি সমিতির ৪ ও ৫ নং ভবনের বিপরীত পাশে।
ঢাকা কার্যালয়ঃ কে ৭৪/৫,কোরাতলী এআই ইউবি রোড খিলক্ষেত, ঢাকা, ১২২৯।
যোগাযোগঃ 01917925375 /01736554862 / 01721927699
প্রকাশক: মারুফ হোসেন কমল