১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রচ্ছদ সারা বাংলা ঠাকুরগাঁওয়ে অগ্রিম ধান কাটা শুরু –  কৃষকের ধানের দাম নেই ?
২৭, অক্টোবর, ২০১৯, ১০:০২ অপরাহ্ণ -
মোঃ মজিবর রহমান শেখ  ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও জেলায় শুরু হয়েছে অগ্রিম ধান কাটার মহা উৎস। ফলন আশানুরূপ পেয়ে আনন্দে ধান সংগ্রহ করছেন কৃষকরা। বর্তমানে বাজারে ধানের দাম ভালো নেই ?  কিন্তু ধানের খড় বিক্রি করার কারণে কৃষকরা অনেক খুশি। ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও  জেলায় ৫টি উপজেলায় আমন মৌসুমে ১ লাখ ৩২ হাজার ৬শ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমন ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে দেশীয় উদ্ভাবিত স্বল্প জীবনকালের ধান বিনা-৭, ব্রি ধান ৩৩ ও বিভিন্ন প্রকার উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড ধানের চাষ হয়েছে ।  মোট আবাদের শতকরা ১০ ভাগ অর্থাত্ ১৩ হাজার ২৬০ হেক্টর। ইতোমধ্যে এসব অগ্রিম  ধান কাটা শুরু হয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর লাভবান হতে পারছেন বলে কৃষকরা জানিয়েছে। কিন্তু বাজারে ধানের দাম নাই ? ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার সালন্দর গ্রামের কৃষক রিয়াজুল ইসলাম
বলেন, এ মৌসুমে ৪ বিঘা জমিতে বিনা-৭ জাতের ধানের চাষ করেছি। কাটা-মারাই শেষের দিকে। বিঘা প্রতি ২২ থেকে ২৩ মণ ফলন হচ্ছে। গত বছরও একই জমিতে একই জাতের ধানের চাষ করে ফলন কম পেয়ে ৯শ টাকা দরে বস্তা (৭৫ কেজি) বিক্রি করেছিলাম। তবে এ বছর ফলন কিছুটা বেশি, দামও অনেক কম। বর্মান ৮২০-৮৫০ টাকা দরে বস্তা বিক্রি করছি। তাছাড়া এবছর গবাদিপশু খাদ্য খড়ের চাহিদাও বেশি, বাড়িতে ভাল দামে বিক্রি হচ্ছে খড়। ফুল সিজনে (মৌসুমে) শ্রমিকের সমস্যা থাকলেও এখন শ্রমিকের সমস্যা অনেকটা কম। আউলিয়াপুর এলাকার
 কৃষক তুষার বলেন, ৪ একর জমিতে আগাম জাত বিনা-৭ ধানের চাষ করেছি। শ্রমিক দিয়ে ধান কেটে (খড়সহ ধান) শুকাতে দিছি জমিতে। দিন কয়েক পরে ধান বাড়িতে নিয়ে যাব আর জমিতে আলুর চাষ করবো। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বাজারে ধানের যে দাম কম আছে। কম দামে ধান বিক্রি করলে আমাদের লজ হবে। ঠাকুরগাঁও  জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফতাব বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষীরা ভাল ফলন পাচ্ছেন। বর্তমানে বাজারে ধানের দাম কম।কৃষকরা জুদি দেরিতে ধান বিক্রি করে তাহলে দাম পাবে। স্বল্প সময়ে আগাম ধান বাজারে বিক্রি করে কৃষকরা তাদের পরিবারের বিভিন্ন ধরনের চাহিদা পূরণ করতে পারছে। তাছাড়া আগাম ধান কাটার পর আবার একই জমিতে আগাম গোল আলু ও তৈল জাতীয় ফসল সরিষার চাষ করা যাবে বলে আমি আশা করছি।