তথ্য প্রতিদিন = গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি’সহ মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও শাসক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) শীর্ষ কয়েকজন নেতাকে আটক করে সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নিয়েছে সেনাবাহিনী। সামরিক জান্তার এই উত্থানে গোটা দেশে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ বিবৃতিতে সু চি তার দেশের জনগণকে সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী জনবিক্ষোভে নামার ডাক দিয়েছেন।
এমন অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমার-বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু, ঘুমধুম, চাকঢালা সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিজিবি।
এ বিষয়ে বিজিবি কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার জানিয়েছেন, সীমান্তে বিজিবি সতর্ক অবস্থায় থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
মিয়ানমারে চলমান এই পরিস্থিতি বাংলাদেশ ‘পর্যবেক্ষণ করছে’ বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনও জানিয়েছেন।
গেল নভেম্বরে মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে সু চি’র দল বিজয়ী হলেও ভোটে ব্যাপক কারচুপি ও জালিয়াতির অভিযোগ উঠে। এ কারণেই সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ শাসক দলের শীর্ষ বেশ কয়েকজন নেতাকে আটক করা হয়েছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়। দেশটিতে এক বছরের জরুরি অবস্থাও জারি করেছে সেনারা।
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষা নির্বাচনের পর যথারীতি জনগণের সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে বলে সামরিক জান্তার বৈঠকে জানিয়েছেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং।
সেনা অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে টেলিফোন, মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বাধাগ্রস্ত করছে দেশটির সামরিক কর্তৃপক্ষ। রাজধানীসহ প্রধান শহরগুলোতে এবং সীমান্ত অঞ্চলে সেনা টহল জোরদার করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সম্প্রচার ও দেশের ব্যাংকগুলোও সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এদিকে মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের জেরে বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ভারত, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এবং মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এ অভ্যুত্থানের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন।
( ফাইল ছবি)