তথ্য প্রতিদিন = বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনই ছিল শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে তরুণ নেতৃত্ব ভবিষ্যৎ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করবে- এই হোক জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর প্রত্যয়। বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল লক্ষ্য ছিল মানুষের প্রতি ভালবাসা। তিনি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে আমৃত্যু সংগ্রাম করেছেন তিনি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ১০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১৮ মার্চ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পীকার আজ এসব কথা বলেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধু দূরদৃষ্টি ও গভীর প্রজ্ঞাসম্পন্ন সার্বিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। শোষণ-বৈষম্য-নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে বাংলার মানুষকে মুক্তি দেওয়াই ছিল তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। ১৯৭৪সালে বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ স্থাপন তাঁর উন্নত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার অন্যতম পদক্ষেপ।
স্পীকার বলেন, জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীর মাহেন্দ্রক্ষণে সকল সূচক পূরণ করে স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে দেশ উন্নীত হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়নে রোল মডেল, রেমিট্যান্স থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে অনেক সফলতা অর্জন সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি বলেন,বঙ্গবন্ধু যা বিশ্বাস করতেন তাই ৭মার্চের ভাষণে ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং তাঁরই নেতৃত্বে যুদ্ধ জয় করে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ এবং অনন্য সংবিধান।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর বিশালত্ব দিয়ে সকল নেতা-কর্মীকে ভালবাসতেন এবং সঠিক সময়ে সঠিক দিক-নির্দেশনা দিতেন। এরই ফলশ্রুতিতে তিনি মহান নেতা হয়ে উঠেছিলেন।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য অংশ। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশ হতো না। এই বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান, সচিবসহ উচ্চপর্যায়ের কোন পদেই বাঙালিরা অধিষ্ঠিত হতে পারতেন না।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়। পরবর্তীতে, বঙ্গবন্ধুর চৌকষ নেতৃত্বে ভারতীয় মিত্রবাহিনী বাংলাদেশ থেকে ফেরত গেলে স্বাধীনতা আরো অর্থবহ হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খানের সভাপতিত্বে সভায় উপসচিব এস এম মঞ্জুর কবিতা আবৃত্তি, পরিচালক তারিক মাহমুদ 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' থেকে পাঠ, উপপরিচালক সামিয়া রুবাইয়াত হোসাইন 'কারাগারের রোজনামচা' থেকে পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে উপসচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদার, সহকারী সচিব আসিফ হাসান, আবুল খায়ের উজ্জ্বল প্রমুখ মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ ৩৩ কাচারী রোড, ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবি সমিতির ৪ ও ৫ নং ভবনের বিপরীত পাশে।
ঢাকা কার্যালয়ঃ কে ৭৪/৫,কোরাতলী এআই ইউবি রোড খিলক্ষেত, ঢাকা, ১২২৯।
যোগাযোগঃ 01917925375 /01736554862 / 01721927699
প্রকাশক: মারুফ হোসেন কমল