আজ বেলা ১২ টায় হরিকিশোর রায় রোড মাকরজানি খালে মশার লার্ভা ধ্বংসকারী ২ হাজার ব্যাঙ অবমুক্ত করার মাধ্যমে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন (মসিক) এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে জৈবিকভাবে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু।

এ সময় মেয়র বলেন, মশক নিধনে নিয়মিত প্রতিটি ওয়ার্ডে লার্ভিসাইড ও এডাল্টিসাইড প্রয়োগ করা হচ্ছে। কর্মসূচিকে আরো বেগবান করার জন্য জৈবিক পদ্ধতিতে মশক নিধনের বেশকিছু কার্যক্রম গতবছর হাতে নেওয়া হয়েছিলো।

গতবছর উন্মুক্ত জলাশয়ে মশা খেকো মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে। মশক নিধনে জৈবিক প্রকৃয়ার ব্যবহারের বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ রয়েছে। তাই এ বছরও আমরা জৈবিক প্রকৃয়ায় মশক নিয়ন্ত্রণকে জোরদার করছি।

তিনি আরো বলেন, শহর এলাকায় উন্মুক্ত জলাশয় কমে আসছে। এসব জলাশয়ে প্রাকৃতিকভাবে মশক নিধনে সুযোগ সীমাবদ্ধ হয়ে আসছে। তাই আমরা নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে মশার লার্ভাকে ধ্বংস করে এমন ব্যাঙ উন্মুক্ত করছি। যেসব জলাধারে কিছুটা গভীরতা পাওয়া যাবে সেখানে মশার লার্ভা খেকো মাছ ছাড়া হবে। এছাড়া যেসব জলাশয়ে হাঁস চাষের সুযোগ রয়েছে সেখানে মশক নিধনে হাঁস চাষেরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মেয়র ইকরামুল হক টিটু তাঁর বক্তব্যে মন্তব্য করেন, মশক নিধন একটি সমন্বিত প্রকৃয়া। সিটি কর্পোরেশন প্রত্যেক জলাধার, ড্রেন ইত্যাদি পরিস্কারের ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে একই সাথে প্রত্যেক নাগরিককেও তাঁর আঙিনা পরিস্কার আছে কিনা তা খেয়াল রাখতে হবে। সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ নিয়মিত পরিস্কার রাখতে হবে। তবেই কার্যকর মশক নিধন সম্ভব।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্যানেল মেয়র ০১ মোঃ আসিফ হোসেন ডন, প্যানেল মেয়র ০৩ শামীমা আক্তার, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ আরিফুর রহমান, নগর পরিকল্পনাবিদ মানস বিশ্বাস, খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা দীপক মজুমদার ও অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারিবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।