তথ্য প্রতিদিন ডেস্ক – ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশে হু হু করে বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। বর্তমানে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪৫ টাকায়। এ অবস্থা নিরসনে সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও বাজারে তার প্রভাব পড়ছে না। ফলে পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে সাধারণ মানুষ।
তবে আশার কথা, অবশেষে ভারতের ব্যাঙ্গালুরু থেকে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে সেদেশের সরকার। গত ২৮ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার এক আদেশে এই অনুমতি দেয়া হয়। আদেশে শুধু কর্ণাটক রাজ্যে উৎপাদিত ‘ব্যাঙ্গালুরু গোলাপি পেঁয়াজ’ রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। স্থানীয় ভাষায় যা ‘গোলাবি ঈরুল্লি’ নামে পরিচিত।
নতুন আদেশে বলা হয়েছে, প্রতি চালানে সর্বোচ্চ ৯ হাজার টন পর্যন্ত রপ্তানি করা যাবে, এই পেঁয়াজ ভারতের হর্টিকালচার কমিশনারের অনুমতি নিয়ে চেন্নাই সমুদ্রবন্দর দিয়ে রপ্তানি করতে হবে। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে।
দেশে পেঁয়াজের বাজারে ক্রমাগত উর্ধগতি ঠেকাতে কোন উপায় না দেশে শেষমেশ সরকার দেশের বড় শিল্পগ্রুপগুলোকে পেঁয়াজ আমদানির অনুরোধ করে। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে তাদের অনেকেই আমদানি করছেন পেঁয়াজ। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে সেই পেঁয়াজ দেশের বাজারে আসতে শুরু করবে।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই একমাস পর ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির সুযোগ দিল। যা রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়ার প্রথম পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন অনেকেই।
শুধু একটি রাজ্য থেকে পেঁয়াজ রপ্তানির এই আদেশে ক্ষুদ্ধ হয়েছেন ভারতের অন্য অঞ্চলের কৃষকরা। বিশেষ করে এশিয়ার পেঁয়াজের সবচে বড় বাজার লাসাগাঁওয়ের কৃষকরা এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়ে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছেন রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার জন্য।
লাসাগাঁও এগ্রিকালচার প্রডিউস মার্কেট কমিটির সভাপতি সুভর্না জগতাপ ভারতের ফাইনান্সিয়াল এক্সপ্রেসকে বলেছেন, বিভিন্ন রাজ্য থেকে পেঁয়াজ আসা শুরু হওয়ায় পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম দ্রুত কমছে, এর ফলে কৃষকরা ন্যায্যদাম পাচ্ছেন না। এখনই রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা এবং গুদামজাতের পরিমানের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে না নিয়ে কৃষকরা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
তবে ভারতের নতুন আদেশের ফলে বাংলাদেশি আমদানিকারকরা এখনই উপকৃত হবেন কিনা সেটা স্পষ্ট নয়। কারণ চেন্নাই সমুদ্রবন্দর দিয়ে আমরা সাধারণত পেঁয়াজ আমদানি করি না। সব পেঁয়াজ আমদানি হয় স্থলবন্দর হিলি, ভোমরা, সোনামসজিদ ও যশোর দিয়ে। তবে স্বস্তি একটাই এরমধ্য দিয়ে ভারতের বাজার ধীরে ধীরে উম্মুক্ত হয়ে যাবে।