ময়মনসিংহ অফিসঃ
ময়মনসিংহ সদরের উইনার পাড়ের স্কুল ছাত্রী সাদিয়া আক্তার হত্যাকান্ডের দীর্ঘ ৫ মাস পর হত্যা মামলার মূল আসামী গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারকৃত মূল আসামী রাসেল মিয়া স্কুল ছাত্রী সাদিয়া আক্তারকে বালিশ চাপা দিয়ে ও গলা টিপে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যাশেষে কাপড়ের ফিতা গলায় বেঁধে নিহতের পিতার বসত ঘরের বারান্দার পাইপের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। এর মধ্য দিয়ে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন হলো।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, জেলা সদরের উইনারপাড়ে নিহত স্কুল ছাত্রী সাদি আক্তারের মায়ের বসতঘরের বারান্দায় পাইপের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে কোতোয়ালী থানা পুলিশ ও পিবিআই দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় মামলা নং-২২, তাং-০৬/১২/২০২০ দায়ের হয়। থানা পুলিশের তদন্তাধীন অবস্থায় পিবিআই ময়মনসিংহ গত ৯ ফেব্র“য়ারী স্ব-উদ্যেগে মামলাটি অধিগ্রহণ করে মামলার তদন্ত কার্যক্রম শুরু কগ্রণ বলে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান। তিনি আরো জানান, তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক দেলোয়ার হোসাইন নিহত স্কুলছাত্রী সাদিয়া আক্তারের খুনিকে গ্রেফতারের ল্েয একের পর এক অভিযান পরিচালনা করেন। একপর্যায়ে জেলা সদরের চুরখাই বাজার এলাকা থেকে গত ৮ মে সন্ধিগ্ধ আসামী উইনার পাড়ের আবুল কালামের ছেলে রাসেল মিয়া গ্রেফতার করে। পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাসের দিক নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে গ্রেফতারকৃত রাসেলকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে রাসেল মিয়া স্কুলছাত্রী সাদিয়া আক্তারকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
এদিকে সাদিয়া আক্তারের মা আসমা আক্তার বেদেনা বাদী হয়ে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ৭ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। প্রকৃতপে জমিজমাসহ পারিবারিক বিরোধের জের ধরে আসামী রাসেল মিয়া সাদিয়া আক্তারকে বালিশ চাপা দিয়ে এবং গলা টিপে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করার পর কাপড়ের ফিতা গলায় বেঁধে বাদীর পিতার বসতঘরের বারান্দার পাইপের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। রবিবার রাসেল মিয়াকে আদালতে পাঠানো হলে সে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে বলে পুলিশ সুপার জানান।
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ ৩৩ কাচারী রোড, ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবি সমিতির ৪ ও ৫ নং ভবনের বিপরীত পাশে।
ঢাকা কার্যালয়ঃ কে ৭৪/৫,কোরাতলী এআই ইউবি রোড খিলক্ষেত, ঢাকা, ১২২৯।
যোগাযোগঃ 01917925375 /01736554862 / 01721927699
প্রকাশক: মারুফ হোসেন কমল