তথ্য প্রতিদিন. কম = চলমান শুদ্ধি অভিযান নিয়ে এখন রাজনৈতিক মহলে সরগরম আলোচনা। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে চলছে ব্যাপক তোলপাড়। বিশেষ করে আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় কাউন্সিলের আগ পর্যন্ত দলে ‘শুদ্ধি অভিযান’ চলবে বিধায় সব স্তরের নেতাকর্মীরা কিছুটা নড়েচড়ে বসেছেন।
শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে জেলা উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের এই শুদ্ধি অভিযান। চলবে নভেম্বর এবং ডিসেম্বর দুই মাস জুড়ে। দলের সাংগঠনিক সব জেলার সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকদেরও এ বিষয়ে অবগত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সম্মেলনকে সামনে রেখে সব জেলায় এই তালিকা পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চলমান শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে দেশব্যাপী এই অভিযান শুরু হচ্ছে । অভিযানে আওয়ামী লীগ, অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের দুর্নীতি করে বিত্তশালী হওয়া নেতা ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে দু’র্নীতির সাথে সম্পৃক্ত রাজনীতিবিধ, ব্যবসায়ী, সরকারি চাকুরিজীবি, টেন্ডারবাজ, দখলবাজ, মা’দক ব্যবসায়ী, যাদের বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগ আছে তাদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না বলে জানা যায়।
তাছাড়া চিহ্নিত দু’র্নীতিবাজ, টেন্ডারবাজ ও দখলবাজ, যাদের কারনে বিগত সময়ে দল বিতর্কিত হয়েছে, এমন কাউকে দলের কোন পর্যায়ে না রাখার কেন্দ্রের চুড়ান্ত সিন্ধান্ত সাংগঠনিক জেলাগুলোকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
দল ও সহযোগী সংগঠনে বিতর্কিত বা অনুপ্রবেশকারী ঠেকাতে তালিকা করেছে আওয়ামী লীগ। সম্মেলনকে সামনে রেখে সব জেলায় এই তালিকা পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দলের বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটিতে যাতে বিতর্কিত ও অনুপ্রবেশকারীরা স্থান না পায়, সেজন্য তাদের তালিকা করা হয়েছে। নেত্রী (শেখ হাসিনা) বিভিন্ন সংস্থাকে দিয়ে এই তালিকা করে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।
এই তালিকা সব জায়গায়, কেন্দ্র থেকে শুরু করে জেলার নেতাদের কাছে পাঠানো হচ্ছে। বিতর্কিত কেউ যাতে বিভিন্ন পর্যায়ের সম্মেলনে কমিটিতে স্থান করে নিতে না পারে, সেজন্য আমরা সতর্ক রয়েছি। নেতাকর্মীদের সেভাবেই দিকনির্দেশনা দেওয়া আছে।
তিনি বলন, নেত্রী তার নিজস্ব কিছু লোক ও গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট সবমিলিয়ে খোঁজ নিয়ে এই তালিকা করেছেন। আমি নিজেও জেলার নেতাদের সঙ্গে বিতর্কিতদের তালিকা নিয়ে কথা বলেছি।
তালিকায় থাকা বিতর্কিত ও অনুপ্রবেশকারীরা কাউন্সিলে কোনো ধরনের জায়গা না নিতে পারে, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দু’র্নীতি, স’ন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, জ’ঙ্গিবাদ, ভূমি দখলকারী, অ’পকর্মের সঙ্গে জ’ড়িত ও বিতর্কিতদের আওয়ামী লীগে স্থান হবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগের জেলা ও সহযোগী সংগঠনগুলো গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটি করবে। গঠনতন্ত্রে যেভাবে কমিটি করার দিকনির্দেশনা আছে, সে অনুযায়ী কমিটি করতে হবে। এ ব্যাপারে জেলা পর্যায়ের নেতাদের কাছে নির্দেশনা যাচ্ছে।