চীফ রিপোর্টার = আজ ১ নভেম্বর শুক্রবার রাজশাহী জেলা পরিষদের শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান মিলনায়তনে “ মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিশেষ সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণ/জনসচেতনতামূলক মতবিনিময় সভা ও মা সমােেবশে” প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো-দুর্নীতি যেন না হয়-সেই কাজ করা। অর্থাৎ দুর্নীতি প্রতিরোধ করা। দুটি জায়গায় এ কাজ করার সুযোগ সবচেয়ে বেশি বলে মনে হয়। একটি হলো প্রাথমিক বিদ্যালয় অপরটি হলো মাধ্যমিক বিদ্যালয়। কোয়ালিটি এডুকেশন হলে একটি লোক দুর্নীতিবাজ হতে পারেন না। যে বাচ্চা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভালো হবে, সে বাচ্চা দুর্নীতি করবে না। আপনাকে শুনতে হবে কেন বাচ্চাটি স্কুলে আসে না। কোয়ালিটি এডুকেশনের সমস্য অনেক দেশেই রয়েছে, আমাদের সমন্বিত চেষ্টা থাকবে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য।
তিনি বলেন, দুর্নীতি ধরার জন্য প্রতিটি মানুষের পিছনে পুলিশ লাগানো সম্ভব নয়। দুর্নীতি দমনে ভূমিকা রাখবে প্রতিরোধমূলক কাজ। এই প্রতিরোধমূলক কাজ করবেন সম্মানিত শিক্ষক, মা, অভিভাবক ও এসএমসির সদস্যরা। সরকারকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি আমাদের শিক্ষকদের কল্যাণে তাদের আর্থিক বিষয়টি বিবেচনায় নিবেন।
তিনি বলেন, নিজের কাজ ফাঁকি দেওয়ার অর্থ নিজেকেই নিজে ফাঁকি দেওয়া। আমরা যদি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষা না দিয়ে ফাঁকি দেই, তাহলে নিজের বাচ্চাটিও শ্রেণিকক্ষে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে। আমি সরকারকে লিখিতভাবে জানাবো , নির্বাচনের কাজ ছাড়া প্রাথমিক শিক্ষকদের অন্য কোন অতিরিক্ত কাজে যতটা পারা যায় জড়াবেন না।
মা ও এসএমসির সদস্যদের উদ্দেশ্যে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সামাজিক চাপ অনেক সময় কর্মস্পৃহা সৃষ্টি করে, যা মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে কাজে লাগতেও পারে।
তিনি বলেন, এসএমসির সদস্যদের মাঝে মাঝে স্কুল পরিদর্শন করতে হবে বাচ্চাদের নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত হয় এমন নতুন নতুন গল্প বলবেন। প্রাইমারি স্কুলে যা শিক্ষা হয় তা বাচ্চারা সহজে ভুলে না। শিক্ষকগণ প্রতিদিন একটি করে নতুন জিনিস শিখাবেন। গল্পের ছলে পড়ানো হলো শিক্ষা প্রদানের উত্তম পদ্ধতি। বাচ্চাদেরকে ভয় দিয়ে মন জয় করা যাবে না। ভালোবাসা-মায়া-মমতা দিয়েই তাদের হৃদয় জয় করতে হবে। শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, বাচ্চাদের বাড়িতে যাবেন। শিক্ষকদেরকে প্রতিটি বাচ্চাকে তার নামে চেনা উচিত। আমরা সদাশয় সরকারকে পত্র লিখবো জেলার সুশীল সমাজকে নিয়ে একটি জেলা শিক্ষা কমিটি করা যায় কি-না ।
তিনি বলেন, শিক্ষক নিয়োগ ও বদলি বদলি প্রক্রিয়ায় কথিত দুর্নীতি প্রতিরোধে এসব কার্যক্রম অনলাইন প্রক্রিয়ায় হওয়া উচিত। যাতে কথিত দুর্নীতি বন্ধ হয়।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসক মোঃ হামিদুল হক এর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে, অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আকরাম-আল-হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ এফ এম মনজুর কাদির প্রমুখ।
ছবি, ইন্টারনেট থেকে