তথ্যপ্রতিদি. কমঃ
দলীয় নেতাদের মধ্যে যারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত, তাদের কোনোভাবেই প্রশ্রয় না দেওয়ার বিষয়ে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, যে অভিযান চলছে, চলুক। এই অভিযান চলবে। তোমরা কাউকে প্রশ্রয় দেবে না। এরা অনেকেই আমাদের বিভিন্ন সংগঠনে অনুপ্রবেশ করেছে। অপকর্ম করে আমাদের সব অর্জন নষ্ট করে দিচ্ছে। অপকর্মে জড়িত এমন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কাজ করবে, তোমরা কেউ কাউকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেবে না।
বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নেতাদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে শেখ হাসিনা এমন কঠোর নির্দেশ দেন। বৈঠকে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন আয়োজনেরও নির্দেশ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আধা ঘণ্টারও বেশি সময় অনুষ্ঠিত হয় জরুরি বৈঠক। পরে গণভবনের গেটে বৈঠক নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতারাই আওয়ামী লীগের আগামী কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা পাবে। আওয়ামী লীগের সমচিন্তার নয়— এমন কেউ যেন দলে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে বলেছেন আমাদের সভাপতি।
সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো নেতাকে নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কারও নাম নিয়ে আলোচনা হয়নি। তবে নেত্রী (শেখ হাসিনা) জানিয়েছেন, অভিযান চলমান থাকবে। যারা অপরাধ করেছে, তাদের কোনোভাবেই আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান; সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও এনামুল হক শামীম; মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ; প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর; ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী; উপদফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া; কেন্দ্রীয় সদস্য আমিরুল আলম মিলন, আজমত উল্লা, ইকবাল হোসেন অপু ও আনোয়ার হোসেনসহ অন্যরা।
সুত্র, sarabangla