শামীম খান গৌরীপুরঃ
ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভায় গণটিকাদান কর্মসূচির প্রথমদিন শনিবার টিকাদান কেন্দ্রে ছিল উপচে পড়া ভিড়। পৌরসভার তিনটি কেন্দ্রে বরাদ্দকৃত টিকার চেয়ে টিকাপ্রত্যাশীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় অনেকেই টিকা না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
জানা গেছে শনিবার গৌরীপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় ৬০০ জন করে ৬৬০০ করোনা টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। এরমধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে টিকাদান কেন্দ্র থাকলেও পৌরসভায় তিনটি টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। কেন্দ্রগুলো হচ্ছে পৌর শহরের নুরুল আমিন খান উচ্চ বিদ্যালয়, রাজেন্দ্র কিশোর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও গৌরীপুর সরকারি কলেজ। তিনটি টিকাদান কেন্দ্রের প্রত্যেকটিতে দুইটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি বুথে ১০০ জন করে মোট ৬০০ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা পৌরসভার টিকাদান কেন্দ্রে টিকার চেয়ে টিকাপ্রত্যাশীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় কেন্দ্রগুলোতে দীর্ঘ লাইন তৈরি হওয়ায় স্বাস্থবিধির ব্যত্যয় ঘটে। অনেকেই আবার রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই টিকা নিতে এসে লাইনে ভিড় করেন।
এদিকে শনিবার পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে টিকাপ্রত্যাশীরা টিকা না পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে প্রতিকার চান। পরে মেয়র তাদের আশ^স্থ করেন।
গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বলেন পৌরবাসীর সুবিধার্থে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ৯টি টিকাদান কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হওয়ায় ৩টি কেন্দ্রে টিকা দেয়ায় অনেকেই টিকা গ্রহণ করতে পারেনি। এটা নিয়ে কেউ দুশ্চিন্তা করবেনা। আমি আশ^স্ত করছি পৌরবাসী সবাই টিকা পাবেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন পৌরসভার জন্য ৬০০ টিকা বরাদ্দ ছিল। কিন্ত টিকাপ্রত্যাশীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় অনেকেই আজ টিকা পাননি। তবে যারা টিকা নিতে পারেননি তারা পরবর্তীতে টিকা নিতে পারবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান মারুফ বলেন যেহেতু বরাদ্দকৃত টিকার তুলনায় টিকাপ্রত্যাশীর সংখ্যা বেশি। তাই আগামীতে যেন সবাই টিকা পায় সে বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হবে
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ ৩৩ কাচারী রোড, ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবি সমিতির ৪ ও ৫ নং ভবনের বিপরীত পাশে।
ঢাকা কার্যালয়ঃ কে ৭৪/৫,কোরাতলী এআই ইউবি রোড খিলক্ষেত, ঢাকা, ১২২৯।
যোগাযোগঃ 01917925375 /01736554862 / 01721927699
প্রকাশক: মারুফ হোসেন কমল