কন্যাসন্তানকে জীবন্ত অবস্থায় মাটিচাপা দেওয়ার সময় তার বাবা ও দাদাকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ভারতের হায়দ্রাবাদে তাদের আটক করা হয়। শিশুটি জন্মানোর পরপরই হায়দ্রাবাদের জুবিলি বাসস্ট্যান্ডের নির্জন এলাকায় মাটিচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলে। ভারতের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, নবজাতকটিকে মাটিচাপা দেয়ার জন্য তার বাবা ও দাদার তৎপরতা চোখে পড়ে কুমার নামে স্থানীয় এক অটোরিকশা চালকের।
কুমার জানান, বাজারের ব্যাগে কিছু একটা নিয়ে গোপনে তাদের বাসস্ট্যান্ডের পেছনে যেতে দেখেন তিনি। সন্দেহ হওয়ায় আড়ালে লুকিয়ে দেখতে থাকেন দুই জনের কর্মকাণ্ড। এ সময় মাটিতে গর্ত করতে দেখে সন্দেহ আশঙ্কায় রূপ নেয় তার। পাশাপাশি ফোপানির আওয়াজ কানে আসে কুমারের। দেরি না করে পুলিশকে ফোন করেন তিনি। ফোন পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুটিকে উদ্ধার করে গান্ধী হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। এরপর হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে নবজাতকের বাবা ও দাদাকে আটক করা হয়। তারা তেলেঙ্গানার করিমনগরের বাসিন্দা বলে জানা যায়।
যদিও নিজেদের নির্দোষ দাবি করে অভিযুক্তরা বলেন, শিশুটি মৃত অবস্থায় জন্মগ্রহণ করায় তাকে মাটিচাপা দিচ্ছিলেন তারা। পরে পুলিশ খোঁজ নিলে ফাঁস হয়ে যায় প্রকৃত ঘটনা।
পুলিশ কনস্টেবল ভেঙ্কাতা রামাকৃষ্ণ বলেন, কন্যা সন্তান হওয়ার কারণেই শিশুটিকে জীবন্ত হত্যা করতে চেয়েছিলেন তারা। এ বিষয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
গত ১৪ অক্টোবর দেশটির উত্তর প্রদেশে মাটিতে পুঁতে ফেলা এক কন্যাশিশুকে মাটিচাপা দেওয়ার কয়েকঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার করা হয়।