চীফ রিপোর্টারঃ
দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে ০৯টি অভিযোগের বিষয়ে (৩টি অভিযান, ০৬ দপ্তরে পত্র প্রেরণ) পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
গীতিকার ও সুরকার তালিকাভুক্তকরণ ও সম্মানী প্রদানে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে বিটিভির সদর দপ্তরে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রণজিৎ কুমার কর্মকার ও সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া এর সমন্নয়ে গঠিত এনফোর্সমেন্ট টিম ২৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার এই অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে অভিযোগের ব্যাপারে বিটিভির মহাপরিচালক সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে টিম আলোচনা এবং সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৩ সালে গীতিকার তালিকাভুক্তকরণ করা হয় এবং এর ভিত্তিতে ২০২০ সালের আগ পর্যন্ত গীতিকারদের সাম্মানী ভাতা প্রদান করা হতো। পরবর্তীতে ২০২০ সালে গীতিকার তালিকা হালনাগাদ করা হয়। বর্তমানে হালনাগাদ তালিকা অনুযায়ী সম্মানী প্রদান করা হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষ জানায়। দুদক টিম নতুন তালিকা অনুযায়ী সম্মানী প্রদানের নথিপত্র কর্তৃপক্ষকে সরবরাহ করতে বলেছে। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনাপূর্বক কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, সাতক্ষীরা-এর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনা’র সহকারী পরিচালক তরুন কান্তি ঘোষ-এর নেতৃত্বে আরও একটি অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া শহর থেকে সরষকাঠি বাজার অভিমুখে ৬ কিলোমিটার রাস্তার প্রকল্প সরেজমিন পরিদর্শন করে দুদক টিম। প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ইতোমধ্যে উক্ত প্রকল্পের প্রায় ৮৮ লক্ষ টাকার মেরামতের কাজ করা হয়েছে। মেরামতের কাজের মাণ ও সঠিকটা যাচাইকল্পে দুদক টিম প্রকল্প সংশ্লিষ্ট রেকর্ড সংগ্রহ করেছে যা পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে টিম।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নামসর্বস্ব এনজিওকে পরস্পর যোগসাজসে সরকারি অনুদানের অর্থ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে দুদক জেলা কার্যালয় ফরিদপুর হতে সহকারী পরিচালক আবুল বাশার এর নেতৃত্বে একটি টিম মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার কার্যালয় বালিয়াকান্দি রাজবাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থ বছরে নিবন্ধনকৃত সমিতির অনুকূলে অর্থ বরাদ্দের নথিপত্র পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনায় দেখা যায়, এ সময়ে ছয়টি নিবন্ধনকৃত সমিতির অনুকূলে ২৫-৩০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ প্রদান করা হয়। উক্ত সমিতিগুলো পরিদর্শনকালে তাদের আয়-ব্যয় হিসাব সঠিক পাওয়া যায় মর্মে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দাবি করেন। উক্ত দাবির সঠিকটা নিরূপণে সংগৃহীত নথিপত্র পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
এছাড়াও, দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৬টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।