চীফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহের সদর উপজেলার পরানগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের মালিকাধীন সরকারী খেলার মাঠের চতুর্শীমানার সরকারী গাছ বিক্রী করে লক্ষ-লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম,দুর্ণীতি ক্ষমতার প্রভাবে সরকারী সম্পদ অবৈধ দখলে রাখার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে জানা যায় পরাণগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যান সোলায়মান কবির তার ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী মীরকান্দা পাড়া খেলার মাঠ অবৈধ উপায়ে জবর-দখল করাসহ সরকারী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে তার চেয়ারম্যানি ক্ষমতাবলে মাঠের চারপাশে থাকা বড়-বড় একাশি,আকাশি,৫টি কাঠাল,৫টি জামসহ প্রায় ৩০টি গাছ কর্তন করে বিক্রি করেছে। যার আনুমানিক মুল্য প্রায় ১৭থেকে ১৮ লক্ষ টাকা সে আত্মসাৎ করে নিয়েছে । উল্লেখ্য-তৎকালীন বৃটিশ সরকার ১৯৩৮ সনে ময়মনসিংহ সদর উপজেলাধীন ৪নং পরানগঞ্জ ইউনিয়নের অন্তর্গত অম্বিকাগঞ্জ বাজার সংলগ্ন মীরকান্দা পাড়া বিশাল এই খেলার মাঠটি মীরকান্দাপাড়া মাঠ বলে নামকরণ করেন। প্রায় ১শ বছর পূর্বে সি এস রেকডীয় মালিক গগন চন্দ্র সাহা রায় কতৃক ১.৭০ একর ভূমি বৃটিশ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ক্লিন্ডার শ্লী ভিলেজ গ্রীন মাঠ মীরকান্দা নামে নাম করন রয়েছে । যাহা ১৯৬২ সনের আর ও আর রেকর্ডে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে কালেক্টর ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মাঠ নামে লিপিবদ্ধ হয়। বর্তমানে জেলা প্রশাসকেরর নামে মাঠটি চুরান্তভাবে গেজেট প্রকাশিত হয় । জেলা প্রশাসক মালিকানাধীন উক্ত খেলার মাঠের চতুরসীমানায় থাকা সরকারী গাছ জেলা প্রশাসকের অনুমতি না নিয়েই ইউপি চেয়ারম্যান সোলায়মান কবীর বিশাল আকৃতির বড় বড় ৩০/৪০ টি গাছ কিভাবে? কোন ক্ষমতাবলে কেটে বিক্রি করলেন এনিয়ে ইউনিয়নব্যাপী বিভিন্ন পেশা-শ্রেণীর মানুষের মাঝে প্রশ্ন ও আলোচনা-সমালোচনার দেখা দিয়েছে । যার আনুমানিক মূল্য ১৭/১৮ লাখ টাকা। বিষয়টি নজরে আসলে স্থানীয় এলাকাবাসীর নজরে আসলে এলাকার পক্ষে স্থানীয় মো: আব্দুর রাজ্জাক এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। যার এডিসি স্বারক নং – ৭১০ তারিখ ১৫-৯-১৯, ও উপজেলা নির্বাহী স্বারক নং -২৩৭৫ তারিখ ২৫-৯-১৯ ।
অভিযোগে জানা যায়-বিশাল এই সরকারী মাঠে সাপ্তাহিক হাট বারে সরকারী ইজারা ছাড়া ভ্যান,সাইকেল,গরু,ছাগলসহ অটো রিক্সার হাট বসিয়ে চেয়ারম্যান সেই বাজার থেকে খাজনা আদায় করলেও সরকারী ইজারা না থাকায় সরকার বিশাল মাঠে জমানো বাজার থেকে রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে। মাঠ যদিও খেলার জন্য, তবে এই মাঠে কেউ খেলাধুলা করতে গেলে চেয়ারম্যান তাদের মামলা-মোকাদ্দমার ভয় দেখানোর ফলে স্থানীয় শিক্ষার্থী ও যুবকরা খেলতে সুযোগ না পাওয়ার কারণে খেলাধুলায় পিছিয়ে ইউনিয়নের যুবক ও শিক্ষার্থীরা।
চেয়ারম্যান সোলামান কবির রাজনৈতিকভাবে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। গত ৭মে ২০১৬ সালে তিনি বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসাবে ধানের শীষ প্রতীক নির্বাচিত হন। তিনি একজন শিক্ষক ছিলেন বলে স্থানীয় জনগন তাকে দলমত নির্বিশেষে ভোটে নির্বাচিত করেন। বর্তমান সরকার জনগনের চাহিদা পুরণে স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প ও সরকারী বিভিন্ন বরাদ্ধ দিলেও অভিযোগ রয়েছে- তিনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে জনগণ ইউনিয়নে কাঙ্খিত উন্নয়ন দেখতে পায়নি।বয়স্ক,বিধবা,পঙ্গু,ভিজিডিসহ যেকোন সরকারী সুবিধা পেতে সমাজের অসহায় দরিদ্র জনগন তার কাছে যোগাযোগ করলে তিনি সরকারকে দোষারুপ করে জনগনকে বলে দেন এই সরকারের আমলে কোন কাজ নেই,কোন ভাতা নেই।
স্থানীয়রা মন্তব্য করছেন- সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্নকারী চেয়ারম্যান সোলায়মান সোলায়মান কিভাবে এত অন্যায়,দুর্ণীতি অনিয়ম করেও কিভাবে পাড় পেয়ে যাচ্ছেন এনিয়ে বিভিন্ন মহলে মন্তব্য সমালোচনা চলছে। স্থানীয়রা- সরকার ও জনগণ ঠকানো এই চেয়ারম্যানের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান।
এব্যাপারে চেয়ারম্যান সোলায়মান কবিরকে তার মুঠো ফোনে কল করলে তিনি ফোন না ধরায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।