ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অনলাইন জুয়াড়িদের বিশাল সিন্ডিকেট। বিভিন্ন দেশের ফুটবল, ক্রিকেটসহ খেলার আসর ও খেলোয়াড়দের নিয়ে বসে এসব জুয়া। এ জুয়ার কারণে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতিদিন লেনদেন হচ্ছে কোটি টাকা।
প্রতিদিন ৩ থেকে ৫ কোটি টাকার লেনদেন হয় এই অনলাইন জুয়া খেলায়। চক্রটি দীর্ঘ সময় ধরে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এই চক্রের অন্যতম হোতারা থাকছে ধরা ছোয়ার বাইরে। হোতারা বিভিন্ন সেলস এজেন্ট নিয়োগ দিয়ে তাদের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ ও ব্যাংকে টাকা জমাসহ বাইরের সকল কাজ করিয়ে থাকে।
আইটি বিশেষজ্ঞরা বলেছে, জুয়ার সাইটগুলো মূলত দেশের বাইরে থেকে পরিচালিত হয়। বিভিন্ন খেলায় জুয়া খেলার জন্য একজন জুয়াড়ি মোবাইল নম্বর বা ই-মেইল এর মাধ্যমে এই বেটিং সাইটে একাউন্ট খুলে। একাউন্টের বিপরীতে একটি ই-ওয়ালেট বানিয়ে ব্যালেন্স যোগ করে। এরকম বেশিরভাগ সাইটগুলো দেশের বাইরে থেকে পরিচালিত হচ্ছে।
সরে জমিনে জানা যায়, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস আর্কিটেকচার ব্যবহার করে এসব অপব্যবহারগুলো হচ্ছে। এখানে উল্লেখযোগ্যভাবে বহুল ব্যবহৃত সার্ভিসের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাচ্ছে। জুয়ার সাথে জড়িত এস আর গণ এই জুয়ার এজেন্টদের সাথে সরাসরি অবৈধ লেনদেনে জড়িত এবং এর বিনিময়ে তারা জুয়ার এজেন্টদের কাছ থেকে প্রতিটি লেনেদেনে কমিশন পায়। এদের কাছে +০৬ (মালয়েশিয়ার কান্ট্রি কোড) কোডের সিমসহ বিভিন্ন দেশের সিম রয়েছে যা হোয়ার্স অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেন করে। এসকল এজেন্ট ব্যবসায়ী রাতারাতি কোটি টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছে, বেড়ে যাচ্ছে সামাজিক অপরাধ।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে একজন জানায়, ঈশ্বরগঞ্জে বেশিরভাগ এস, আর এই জুয়ার সাথে সম্পৃক্ত। আমি নিজেও নিঃস্ব হয়ে গেছি। এরকম অনেকেই জুয়ায় নিঃস্ব হয়ে এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে। ঈশ্বরগঞ্জের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে বিস্তার রয়েছে রির্চাজ ও জুয়া খেলার।
অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল কাদের মিয়া জানান, জুয়ার খেলার বিষয়ে তথ্য পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।