চীফ রিপোর্টারঃ
আজ দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে ভারতের CBI Academy -তে “Investigation of Anti-Corruption Cases Including Procurement and Contract Frauds” শীর্ষক প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের নিয়ে Knowledge Sharing সেশনে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের যেসব কর্মকর্তারা বিদেশে গিয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন এবং করবেন তাদের স্ব-স্ব দাপ্তরিক কর্মে এর অন্তত: একটি লার্নিংয়ের প্রয়োগ ঘটাতে হবে। এক্ষেত্রে পদ্ধতিগত কোনো সমস্যা হলে সকলের মতামত নিয়ে একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করবেন এবং তা কমিশন বিচার-বিশ্লেষণ করে কমিশনের কর্ম-প্রক্রিায়য় সংযুক্ত করবে।
তিনি বলেন বলেন, দুদক সিবিআইয়ের আদলে জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের ক্ষেত্রে মামলায় দায়েরের সাথে সাথে আইনি প্রক্রিয়ায় ঐসব সম্পদ জব্দ করতে পারে এবং এটা করাই সমীচীন বলে আমি মনে করি। এছাড়া ফাঁদ মামলায় আসামিদের গ্রেফতারের সাথে সাথে তাদের বাসায় তল্লাশি করার বিষয়টিও বিবেচনা করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুসারে কমিশন অত্যন্ত শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান। তবে আমাদের সক্ষমতার কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। আর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন দেশের মানুষের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের যে অঙ্গীকার তা বাস্তবায়নে সকলকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নিজের প্রতি যেমন নিজের অঙ্গীকার রয়েছে, তেমনি নিজের দায়িত্বের প্রতিও অঙ্গীকার থাকতে হবে।
এসময় তিনি দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের প্রধানকে উদ্দেশ্যেকরে বলেন, জনশ্রুতি রয়েছে এমন দুর্নীতি প্রবণ ২৮ টি দপ্তরের দুর্নীতির কুখ্যাতি রয়েছে এমন কর্মকর্তাদের গতিবিধির প্রতি দৃষ্টি রাখবেন। যাতে তারা ঘুষ খাওয়ার সুযোগ ও সাহস না পায়। এরা যেন দুর্নীতি করার ধৃষ্টতা না দেখায়। তারপরও দুর্নীতি করলেই তাৎক্ষণিকভাবে আইন প্রয়োগ করতে হবে।
এসময় কমিশনার ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান বলেন, দুদকের যেসব কর্মকর্তা প্রশিক্ষণে গিয়েছিলেন তারা সঠিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন বলে আমার মনে হচ্ছে। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগাতে হবে। একটি উন্মুক্ত কর্মশালার মাধ্যমে যেসব সিস্টেম গ্রহণ করা যায় তা যাচাই-বাছাই করে কমিশনের কর্ম-প্রক্রিয়ায় আমরা সমপৃক্ত করবো।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত,মহাপরিচালক এ এন এম আল ফিরোজ, মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) সাঈদ মাহবুব খান, মহাপরিচাল(প্রশাসন) মোঃ জহির রায়হান, মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও আইসিটি) এ কে এম সোহেল , পরিচালক মীর মোঃ জয়নুল আবেদীন শিবলী, মোঃ মঞ্জুর মোর্শেদ প্রমুখ।