ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারোবাড়ি রেলওয়ে স্টেশনে আন্ত:নগর “বিজয় এক্সপ্রেস (৭৮৫/৭৮৬)” ট্রেনটি যাত্রা বিরতি করবে। এ বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-৬ (রেল অপারেশন) অধিশাখার ২৪ মার্চ পত্রের মাধ্যমে অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।
জানা যায়, বিজয় এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭৮৫/৭৮৬) বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি আন্তঃনগর ট্রেন।চট্টগ্রাম হতে ময়মনসিংহে পৌঁছাতে সময় লাগে ৮ ঘণ্টা ৪৭ মিনিট। যাত্রাপথে ট্রেনটি ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জ জেলাকে সংযুক্ত করেছে। ময়মনসিংহ জংশন হতে রাত ৮ঃ০০ টায় যাত্রা করে গৌরীপুর জংশনে এসে লাইন পরিবর্তন করে রাত ৮ঃ৪৭ টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশে ঈশ্বরগঞ্জ, সোহাগী, আঠারোবাড়িসহ কোন স্টেশনে না থেমে বিরতিহীনভাবে ৯ঃ৫৭ টায় কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে পৌঁছে।
এদিকে ঈশ্বরগঞ্জবাসীর দাবি, তারা বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। কারণ শম্ভুগঞ্জ যানজটের কারণে সঠিক সময়ে ট্রেন পাওয়া যায় না, অন্যদিকে গৌরীপুর জংশনটি মহাসড়ক হতে অনেকটা দূরবর্তী হওয়ায় যাতায়াতের জন্য ভালো পরিবহন ও কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নাই। রাস্তায় প্রায়ই ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মত ঘটনা ঘটে। ফলে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশনে যাত্রা বিরতির জন্য দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল ঈশ্বরগঞ্জবাসীর। এর মধ্যে ট্রেনটিকে আঠারোবাড়ি স্টেশনে যাত্রা বিরতির অনুমতি দেয়ায় আবারো হতাশা প্রকাশ করলো ঈশ্বরগঞ্জ প্রাণকেন্দ্রে বসবাসকারী ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী ও সুশীল সমাজ। নিয়মিত যাতায়াতকারী তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আঠারোবাড়ি কম জনবল নিয়ে শুধুমাত্র একটি পুলিশফাড়ি আছে। ঈশ্বরগঞ্জ হতে আঠারো বাড়ি প্রায় ১৫ কি.মি. রাস্তা চলাচলে এবং স্টেশনে কোন নিরাপত্তা নাই। ট্রেনটি ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশনে থামলে ব্যবসায়ীসহ সকলের সুবিধা হতো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঈশ্বরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, আমি তিনটি স্টেশনের জন্য সুপারিশ করেছিলাম, রেলওয়ে টেকনিক্যাল টিম আঠারোবাড়িকে নির্ধারণ করেছে।