চীফ রিপোর্টার সেলিম মিয়াঃ
১ যে পরিমাণ দলিল রেজিস্ট্রি হয় তা বিদ্যমান নকলনবিশ দ্বারা প্রতিদিনের দলিল প্রতিদিনই কপি না হওয়ার কারণে মূল দলিল সরবরাহ করতে বিলম্ব হয় এবং সার্টিফায়েড কপি সরবরাহে ইচ্ছাকৃত জটিলতার সৃষ্টি করা হয়। যাতে সেবা পাওয়ার জন্য উৎকোচ দিতে বাধ্য হচ্ছেন সেবা গ্রহীতারা।
২ • দলিল রেজিস্ট্রেশনের সময় সরকারি রাজস্ব হিসাবে জমাকৃত পে-অর্ডার, ব্যাংক ড্রাফট, চেক ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের হিসাবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা হয় না। এতে এসব ব্যাংক ড্রাফট, পে-অর্ডার, চেকসমূহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর হতে খোয়া যাচ্ছে এবং জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
৩ • পে-অর্ডার, ব্যাংক ড্রাফট, চেক ইত্যাদি এন্ট্রি দেওয়ার জন্য রক্ষিত রেজিস্টারের সকল কলাম পূরণ করা হয় না।
৪ • দলিল রেজিস্ট্রেশন হওয়ার পর বিবরণসহ নোটিশ সংশ্লিষ্ট এসিল্যান্ড অফিসে প্রেরণ করার কথা থাকলেও কৌশলে বিবরণ ছাড়াই তা প্রেরণ করা হয়।
৫ • পে-অর্ডার, ব্যাংক ড্রাফট, চেক ইত্যাদি সময়মতো রাজস্ব খাতে জমা না হলে তা সংশ্লিষ্ট ইস্যুকারী ব্যাংকে দাবিদারবিহীন পড়ে থাকে এবং একটি সময় ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তা কর্তৃক তা আত্মসাতের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
৬ • দাতা-গ্রহীতার মধ্যে জমির প্রকৃত বিনিময়মূল্য বেশি হলেও তা দলিল লেখক ও সাব-রেজিস্ট্রারের সহায়তায় কম দেখিয়ে রেজিস্ট্রেশন করার কারণে প্রকৃত রেজিস্ট্রেশন ফি থেকে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে।
৭ • বিতর্কিত জমি রেজিস্ট্রেশন করে রেজিস্ট্রেশন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী অবৈধ সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করছেন।
৮ • কোনো দলিল রেজিস্ট্রেশন শেষ হয়ে গেলে যদি সেটি জাল দলিল হিসেবে রেজিস্ট্রি হয় তবে দেওয়ানি আদালত ছাড়া ওই দলিল বাতিল করা জমির প্রকৃত মালিকের পক্ষে সম্ভব হয় না, যা একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। এ সুযোগে প্রকৃত মালিক দীর্ঘমেয়াদি বিড়ম্বনায় পড়েন।
৯ • নিয়োগ-বদলির ক্ষেত্রে ব্যাপক বাণিজ্যের জনশ্রুতি রয়েছে। আইন ও ম্যানুয়াল অনুযায়ী তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী বদলি, দলিল লেখক, নকলনবিশ নিয়োগের ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট জেলা রেজিস্ট্রারের। কিন্তু বাস্তবে এ নিয়োগ ও বদলি আই.জি.আর-এর দপ্তর হতে করা হয়।
১০ • নিয়োগ বহির্ভূত অনেক লোক রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সে কাজ করেন, যাদের উমেদার বলে। অধিকাংশ অবৈধ লেনদেন এদের মাধ্যমে হয়ে থাকে।
এরূপ দুর্নীতির উৎস বন্ধে ও দুর্নীতি প্রতিরোধে ১০টি সুপারিশ করেছে বার্ষিক প্রতিবেদনে।
২০ মার্চ রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়া বার্ষিক প্রতিবেদনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতির ২৮টি উৎস চিহ্নিত করেছে দুদকের প্রাতিষ্ঠানিক টিম। এর মধ্যে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ও মৎস্য অধিদপ্তর রয়েছে বলে একটি সুত্রে জানা যায়।
যা প্রতিরোধে প্রায় একই পরিমাণ সুপারিশ করেছে দুদকের প্রাতিষ্ঠানিক টিম।
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ ৩৩ কাচারী রোড, ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবি সমিতির ৪ ও ৫ নং ভবনের বিপরীত পাশে।
ঢাকা কার্যালয়ঃ কে ৭৪/৫,কোরাতলী এআই ইউবি রোড খিলক্ষেত, ঢাকা, ১২২৯।
যোগাযোগঃ 01917925375 /01736554862 / 01721927699
প্রকাশক: মারুফ হোসেন কমল