ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিএনপির ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পুলিশের পিটুনির শিকার হয়েছেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

শনিবার বিকেলে উপজেলার চরনিখলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, পৌর এলাকার চরনিখলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ইফতারের আয়োজন করে উপজেলা বিএনপি। সে ইফতার আয়োজনে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া দেয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তারা উপস্থিত নেতা কর্মীদের ধাওয়া দিয়ে পিটুনি দেয়।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ বলেন, ‘বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাড়াও উপজেলা প্রশাসন ও থানায় জানানো হয়েছিল। আমাদের ওপর বৃষ্টির মতো পাথর নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে আমাদের পাঁচ কর্মী আহত হয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘যারা হামলা করেছে তাদের আওয়ামী লীগ বলব না, এরা সন্ত্রাসী।’

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সামি উসমান গণি বলেন, ‘বিএনপির নেতারা সরকার বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছিল। বিষয়টি সমাধানে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা এগিয়ে এলে পুলিশ আমাদের ওপর হামলা করে। এতে ছাত্রলীগ নেতা আবু রায়হান, মৎস্যজীবী লীগ শামীম মিয়া, ছাত্রলীগের তুষার, শফিকুল ইসলাম, আবু সাঈদসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।’

উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদুল ইসলাম ভুঁইয়া সুমন বলেন, ‘বিএনপি উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়ায় নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে গিয়েছিল। তখন আমাদের কোনো নেতা-কর্মী কারও ওপর আঘাত করেননি। কিন্তু বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। তখন আমাদের নেতা-কর্মীরাও ক্ষিপ্ত হলে পুলিশ শুধু আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপরই আক্রমণ চালায়, এটি দেখে হতবাক হয়েছি।’

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল কাদের মিয়া বলেন, ‘ইফতার মাহফিলে ভাঙচুরের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কেউ আহত হওয়ার খবর আমার জানা নেই। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। এ ছাড়া থানা থেকে ইফতার মাহফিলের কোন অনুমতি দেয়া হয়নি।