পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসচাপায় ইজিবাইকের ৭ জন নিহত হয়েছে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ১ টার দিকে পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেড়া ইউনিয়নের মাগুরমারী চৌরাস্তা আমতলী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ধাক্কামারা ইউনিয়নের যতনপুকুরী এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে আইবুল (৪০), একই এলাকার আইবুলের ছেলে মেহেদী (১৬), একই এলাকার মকলেছুরের স্ত্রী মুন্নি (৪০), একই এলাকার কাজির হোসেনের ছেলে মকলেছুর (৫০) একই এলাকার আইবুল হকের স্ত্রী মুক্তা বানু (৩৫), অমরখানা বাদিনাজোত এলাকার বছির উদ্দীনের ছেলে আকবর আলী ও তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবান রোড মাঝিপাড়া এলাকার লাবুর স্ত্রী মুক্তি বেগম (১৮)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘাতক বাসটি যাত্রী নিয়ে পঞ্চগড় থেকে তেঁতুলিয়ার দিকে যাচ্ছিলো। এসময় মাগুরমারী চৌরাস্তা আমতলী এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইককে চাপা দেয় বাসটি। এতে ঘটনাস্থলে ৫ জন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর দু’জনের মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর পরেই বিক্ষুব্ধ জনতা প্রায় কয়েক ঘন্টা মহাসড়ক অবরুদ্ধ করে রাখে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশ ও স্থানীয় এক সাংবাদিকের উপর হামলা চালায়। এসময় বিক্ষুব্ধ লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হাইওয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে। এতে তেঁতুলিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক (এসআই) রাজিবুল, কনস্টেবল রিপন, সফিউল ও বাংলা টিভির জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক ডিজার হোসেন বাদশা আহত হয়েছেন। পরে পুলিশের সাথে ধাওয়া পালটা ধাওয়া শুরু হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন ও পুলিশ সুপার ইউসুফ আলী।
ঘটনার পর পরেই জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াছমিনের নেত্বৃত্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহিনা শবনমকে প্রধান করে একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তথ্যপ্রতিদিন