চীফ রিপোর্টারঃ- র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সব সময়ই মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এই পর্যন্ত র্যাব বিপুল পরিমাণ দেশী/বিদেশী মাদক উদ্ধার করে জনমনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। “চলো যায় যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে” এই স্লোগানে উজ্জ¦ীবিত হয়ে র্যাব ফোর্সেস মাদক চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে।
র্যাব মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে নিয়মিত গোয়েন্দা নজরদারীর পাশাপাশি সফল অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এ যাবৎ র্যাব-১ অসংখ্য সফল অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে বিপুল পরিমান মাদক দ্রব্য উদ্ধার করেছে এবং মাদক কারবারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২৭ মে ২০২২ ইং তারিখ র্যাব-১, উত্তরা, ঢাকা এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ডিএমপি, উত্তরা পশ্চিম থানাধীন আব্দুল্লাহপুর বাস কাউন্টার এলাকাস্থ ঢাকা টু ময়মনসিংহ হাইওয়ে রোডের ন্যাশনাল ট্রাভেল্স নামক বাস কাউন্টার এর সামনে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য গাজাঁসহ অবস্থান করছে । প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি অদ্য ২৭ মে ২০২২ তারিখ আনুমানিক ০৯০০ ঘটিকায় ডিএমপি, উত্তরা পশ্চিম থানাধীন আব্দুল্লাহপুর বাস কাউন্টার এলাকাস্থ ঢাকা টু ময়মনসিংহ হাইওয়ে রোডের ন্যাশনাল ট্রাভেল্স নামক বাস কাউন্টার এর সামনে পাকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী ১) মোঃ মিঠুন আলী (৩০), পিতা-মোঃ খাইরুল ইসলাম, জেলা-চাঁপাই নবাবগঞ্জ, ২) মোঃ পলাশ (৩০), পিতা-মোঃ কেতাবুর আলী, জেলা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও ৩) মোঃ ঈদুল হোসেন (৩৬), পিতা-মৃত মংলুর রহমান, জেলা-চাঁপাইনবাবগঞ্জদের’কে গ্রেফতার করে। এসময় ধৃত আসামীদের নিকট হতে ১২ কেজি গাঁজা ও ০৩ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
ধৃত আসামীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যায় যে, দীর্ঘদিন যাবৎ গোপনে আইন শৃংখলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন পরিবহন গাড়ীতে সাধারণ যাত্রী সেজে যাতায়াতের মাধ্যমে কৌশলে বিপুল পরিমান অবৈধ মাদকদ্রব্য গাজাঁ বহন করে দেশের বিভিন্ন জেলাতে ক্রয় বিক্রয় করে আসছে মর্মে স্বীকার করে।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।