চীফ রিপোর্টারঃ - ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নিয়ন্ত্রণাধীন ৫৭টি রেগুলেটর ড্রেনেজ আউটলেট স্ট্রাকচার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করেছে পাউবো।
রবিবার ২৬ জুন দুপুরে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এই সমঝোতা স্মারক সাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও হস্তান্তর করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘ অব্যবস্থাপনার কারণে ঢাকা শহর অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। এর সঙ্গে আমাদের শহরের যে সুযোগ সুবিধাগুলো ছিল সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা নগরবাসীর বসবাসের মান উন্নয়নের জন্য খাল হস্তান্তর করেছি। তার সুফল আমরা পেয়েছি। আজকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের যে ৫৭টি রেগুলেটর পয়েন্ট রয়েছে, তার কার্যক্রম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। আশা করছি দক্ষিণ সিটি করপোরেশন তাদের দক্ষতা দিয়ে দ্রুত কাজ শুরু করবেন। এর সুফল অচিরেই নগরবাসী পেতে শুরু করবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘নগরে অপরিকল্পিত ব্রিজগুলো আরেকটি প্রতিবন্ধকতা। এরজন্য নগরের সবগুলো জলপথ ব্যবহার করতে পারছি না। এগুলো ভেঙে ফেলা হবে। ঢাকা নগরী বসবাসের জন্য বিশ্বে ইকোনোমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট যে তিন ধাপ উন্নয়নের কথা বলেছেন আমরা সেটা আগামীতে ৩০ ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’
মেয়র ফজলে নূর তাপস বলেন, আমাদের টাকায় তৈরি পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সুখবরের সঙ্গে সঙ্গে আপনাদের আরো একটি সুখবর দিতে চাই। সেটি হচ্ছে ইকোনোমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিটের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ঢাকা বাসযোগ্য শহরের সূচকে ৩ ধাপ উন্নীত হয়েছে। ২০১৯ সালের তুলনায় আমাদের শহর চারটি ধাপে উন্নীত হয়েছে। আগে ছিলাম সর্বনিম্ন থেকে তিন নম্বরে।’
ডিসিসির মেয়র বলেন, ‘আজ এই দায়িত্ব হস্তান্তরের সঙ্গে সঙ্গেই আমরা আগামীকাল থেকেই কার্যক্রম শুরু করব। পুরাতন নিয়মের করা স্লুইচগেটগুলো মেরামতের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। ঢাকা শহর আগে ৭০ ভাগ এলাকা প্লাবিত হতো। এখন এই ৭০ ভাগ এলাকাতে পানি জমে না।
ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, নতুন যে ১৮টি ওয়ার্ড তৈরি হয়েছে। সে অঞ্চলগুলো একটু পানি হলেই প্লাবিত হয়ে যাচ্ছে। এরজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। এর জন্য টেকনিক্যাল সমাধান দিতে হবে। আমরা যেন ঢাকাকে বন্যামুক্ত রাখতে পারি।
মেয়র আতিক বলেন, নেচার বেজ সলিউশনে যেতে হবে। এর জন্য খালের কোনো বিকল্প নেই। হাতিরঝিল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন দিকে কীভাবে যাওয়া যায় তার মাস্টার প্ল্যান আমরা করে ফেলেছি। এই প্রজেক্টটা যত দ্রুত বাস্তবায়ন করতে পারব তখন ১০ মিনিটে হাতিরঝিল থেকে কালাচাঁদপুর যেতে পারব। এর প্রধান বাধা গুলশান বারিধারা ব্রিজ। এগুলো দ্রুত অপসারণ করতে হবে।’
রাজধানীর খালের মধ্যে কেউ বাসাবাড়ির পয়ঃনিষ্কাশনের লাইন সংযোগ করলে কেটে দেওয়া হবে জানিয়ে আতিক বলেন, ‘কেউ পয়ঃনিষ্কাশনের লাইন দিতে পারবে না। এটি খাল বা লেক হোক। যার যার বাসায় এর জন্য যা যা দরকার আমরা বসিয়ে দেব। খালের মধ্যে একমাত্র পরিষ্কার পানি প্রবেশ করতে পারবে। তাছাড়া আর কোনোরকম দূষিত পানি প্রবেশ করতে দেব না। যদি দেখি কারো বাসার ড্রেন থেকে দূষিত পানি খালে আসছে। সেই ড্রেন আমরা বন্ধ করে দেব।’
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ ৩৩ কাচারী রোড, ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবি সমিতির ৪ ও ৫ নং ভবনের বিপরীত পাশে।
ঢাকা কার্যালয়ঃ কে ৭৪/৫,কোরাতলী এআই ইউবি রোড খিলক্ষেত, ঢাকা, ১২২৯।
যোগাযোগঃ 01917925375 /01736554862 / 01721927699
প্রকাশক: মারুফ হোসেন কমল