স্টাফ রিপোর্টারঃ
কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ময়মনসিংহ শহরতলী রাঘবপুর এলাকায় সাহেব কাচারী বাজার সংলগ্ন এইচ.এস.বি ব্রিকস ও পোল্ট্রি ফার্ম স্থাপন করে মারাত্মক পরিবেশ দূষনের সৃষ্টি করে চলেছে প্রভাবশালী ভূমিদস্যু ও পরিবেশদূষণকারী চক্র। এ ছাড়াও স্থানীয় লোকজনের জমি বেদখল করে ও ফসলী জমির উর্বরতা এবং ফসল নষ্ট করে কোতোয়ালী মডেল থানার জনৈক পুলিশ অফিসারের মদদে হুমকি-ধমকি দিয়ে রামরাজত্ব কায়েম করে বসেছে। কারো কারো জমি ইজারা নিয়ে মেয়াদ উর্ত্তীন হওয়ার পরও জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। তিনি কথায় কথায় পুলিশী ভয় দেখান বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। দখল ছাড়ার জন্য কেউ প্রতিবাদ করলে থানায় মিথ্যা জিডি করে তাদের হয়রানী করা হয় বলে জানাগেছে।
জানা যায়, রাঘবপুর এলাকায় সাহেব কাচারী বাজার সংলগ্ন এইচ.এস.বি ব্রিকস ও পোল্ট্রি ফার্ম মূল সড়কের পাশে, যার তিন দিকেই রয়েছে ফসলী জমি। যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি।
পরিবেশ অধিদপ্তরের বিধিমালা অনূযায়ী ইটভাটা স্থাপনে ১৯ শর্তের মাঝে কোনটির কোন বৈধ কাগজ নেই,মূলত ভুয়া কাগজ সৃজন করে দাখিল করে একশ্রেনীর অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে ইটভাটা স্থাপন করেছেন বলে ক্ষতিগ্রস্থ ভূমি মালিকগণ জানিয়েছেন। এছাড়াও ইটভাটার বর্জ্য,তাপ ও ধোয়ায় ফসলি জমি তথা গাছপালার মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। এ সকল কারনে স্থানীয় জনগনের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় অধিবাসী আঃ কদ্দুস মন্ডল তথ্য প্রতিদিনকে জানিয়েছেন, তাদের কতক জমি ইটভাটার মালিক ছায়েদুল ইসলাম চুক্তি করে লীজ নেয়। মেয়াদ শেষ হলেও তিনি জমি জোরে করে দখল করে রেখেছেন। স্থানীয় ভাবে একাধিক বার শালিস হলে জমি ছেড়ে দিতে বলা হয়। কিন্তু জমি না ছেড়ে তিনি পুলিশ দিয়ে তাদের হয়রানী শুরু করেন। পুলিশ তাদেরকে পুনরায় জমি লীজ দিতে বলে। এতে তারা আতংকিত হয়। জমির চুক্তির মেয়াদ ৪ মাস অতিবাহিত হলেও ছায়েদুল জমি ছাড়েনি।পরিববেশ অধিদপ্তরও রহস্যজনক কারণে নীরবতা পালন করছে।ক্ষতিগ্রস্ত ভূমিমালকগণ এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।