তথ্য প্রতিদিন = অতি প্রবল ঘুর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলো সরকার। তাই ভয়াবহ এ ঝড় তেমন কোন ক্ষতি করতে পারেনি দেশের। ঘুর্ণিঝড়টি উপকূলে আছড়ে পড়ার পর রোববার নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে রোববার (১০ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত থেকেই মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার বিকেলে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন তিনি।’
তিনি আরো বলেন, ‘সরকারের প্রস্তুতির কারণেই ঘূর্ণিঝড় বুলবুল কোনো ক্ষয়ক্ষতি করতে পারেনি। দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। সভাপতিত্ব করেন ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস উদযাপন কমিটির তছলিম আহম্মেদ।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ ক্রমশ শক্তি হারিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সব সমুদ্রবন্দর থেকে মহাবিপদ সংকেত প্রত্যাহার করে নিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এর পরিবর্তে সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর নদীবন্দরগুলো দুই নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাবে। রোববার (১০ নভেম্বর) সকালে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ নিয়ে সর্বশেষ বিফ্রিংয়ে এমন তথ্য জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ সামছুদ্দিন আহমেদ।
ছবি, সংগৃহীত